অনলাইন ডেস্ক: ভারতে পাচারকারী ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলনায় তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাচারকারী ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন নগরীর লবণচরা থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরীর লবণচরা থানার এসআই মো. মোস্তফা জামান, এএসআই আহসান হাবীব (৩৫), কনস্টেবল মুরাদ হোসেন (৪২) ও নগরীর খালিশপুর এলাকার স্বর্ণ পাচারকারী ব্যাসদেব দে (৩৯)। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এসআই মো. মোস্তফা জামানের বাড়ি যশোর, এএসআই আহসান হাবীবের বাড়ি বাগেরহাট ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় এসআই মোকলুসুর রহমান বাদী হয়ে চোরাচালান ও দস্যুতার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
সূত্র জানায়, পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় ঐ তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আসামি ব্যাসদেব দে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক অপরাধের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টি বর্ণনা করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
লবণচরা থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বর্ণ পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার আদালতে সোপর্দ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও উক্ত ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না- সে রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কেএমপি অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, অথবা অপরাধীর পরিচয় যাই হোক না কেন- তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কেএমপি সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুলিশ বিভাগ বহন করে না।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ