কে এম বেল্লাল
পাথরঘাটা (বরগুনা)
বরগুনা পাথরঘাটায় উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করছে প্রতিপক্ষরা।
শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টার দিকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই জেলে শহিদুলের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া এলাকার একচল্লিশ ঘর নামক স্থানে শহিদুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ রাশিদা তানজুম হেনা জানান রাত দেড়টার দিকে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে প্রায় বিশটির মতো ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়াও পায়ের রগ কাটা ছিল। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শহিদের মেয়ে তানিয়া বিকেল বার্তাকে জানান রাত দশটার দিকে জ্ঞানপাড়ার বান্দাঘাটা এলাকায় মহাজন বনি আমিনের সাথে প্রয়োজনীয় কাজ সেড়ে বাড়িতে আসার পথে মন্নান বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস (৩৫), জাকির বিশ্বাসের ছেলে রুবেল বিশ্বাস (২৫), নুরু মল্লিকের ছেলে আব্বাস মল্লিক (৪০) সহ ৮/১০ জন। হঠাৎ আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায় । পরে সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় আনুমান রাত ১২ এর দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
নিহত শহিদুলের ভাই নাসির বলেন, গত পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে,জাকির বিশ্বাস, নাসির, রুবেল, সোবহান, মুসাসহ বর্তমান পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান এনামুল হোসাইনের লোকজন আগুন দিয়ে কয়েকদিন আগে শহিদুলের মেয়ের ঘর পুড়িয়ে দেয়। পাথরঘাটা থানায় এ নিয়ে মামলা করলে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এনামুলের নির্দেশে তার লোকেরা আমার উপর হামলা করে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় আবারও থানায় মামলা করেছি বলে এনামুলের নির্দেশে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। তারা হলেন, দক্ষিন চরদুয়ানী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে মো. নাসির বিশ্বাস, মো. লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল হাওলাদার, লাল মিয়া এর ছেলে হারুন হাওলাদার, আফজাল মল্লিক এর ছেলে রিমন মল্লিক, খলিলুর রহমান এর ছেলে নাজমুল, মৃত আর রশিদ এর ছেলে খলিলুর রহমান এবং দক্ষিন চরদুয়ানী ২ নম্বর ওয়ার্ডের সগির হাওলাদর এর ছেলে মো. সুমন।
নিহত শহিদুল ইসলামের মরা দেহ ময়নাতদন্তের পর, দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নিহত শহিদুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে পাথরঘাটা পৌরসভার শেখ রাসেল স্কয়ারে চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। এ সময় নিহত শহীদুল ইসলামের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি, এক চল্লিশ ঘর, বান্দাঘাটা, জ্ঞানপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে শহিদকে হত্যা পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হোসাইন বলেন, নির্বাচন হয়েছে গত মাসের ৯ জুন। এখন তো নির্বাচনী জের থাকার কথা না। তবে ওই গ্রাম থেকে প্রায় ৮০০ মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে আর যারা তাকে কুপিয়ে তারা আমার সমর্থক কিনা তা আমার জানা নেই। তবে তাকে (শহিদুল) যারা কুপিয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার আমিও চাই।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মৃত শহীদ কর্তৃক পূর্বেই মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলা চলমান আছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহিদুল ইসলামের হত্যাকারীদের আটক করতে রাত থেকেই অভিযান চলছে। শহীদের মরা দেহ সকালেই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ