মোঃ জামাল পাথরঘাটা সংবাদদাতা :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে নবগঠিত মন্ত্রিসভায় একটি নক্ষত্র মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ইউ এইচ এফ পি ও মহোদয় ডাক্তার মাসুদ রানা।
এ সময়ে মন্ত্রী মহোদয় এর সাথে বাংলাদেশ এর সর্ব দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলীয় থানা পাথরঘাটা এর প্রায় তিন লক্ষ লোকের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
পাথরঘাটা থানার দক্ষিনে সুন্দরবন এবং সাগর ছাড়া আর কিছুই নেই। এখানকার জনগণ সর্ব অবহেলিত। উন্নত চিকিৎসার এখানে কোন সুব্যবস্থা নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য এখানকার জনগণকে ছুটে যেতে হয় খুলনা বরিশাল অথবা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে। যাহা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খুবই কষ্টকর।
এই তিন লক্ষ জনগোষ্ঠীর জন্য পাথরঘাটায় রয়েছে একটি জরাজীর্ণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেখানে ২৯ জন ডাক্তার এর পোস্ট থাকা সত্ত্বেও কাজ করে মাত্র ৭ জন ডাক্তার। নেই পরিসংখ্যান অফিসার। নেই হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট। আছে পাঁচজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিপরীতে মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য ডাক্তার মাসুদ রানা স্যার এই জরাজীর্ণ হাসপাতাল এর বিল্ডিং এর মধ্যেই নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু যদি সেখানে কোন গর্ভবতী মায়ের অপারেশন প্রয়োজন হয় তাহলে তিন থেকে পাঁচ ঘন্টার এম্বুলেন্স যাতায়াত এর পরেই চিকিৎসা সুব্যবস্থা পাবে। কিন্তু পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন গাইনী ও এনেসথেসিয়া ডাক্তার নেই।
এখানে গর্ভবতী মায়েদের যদি কোন অপারেশনের প্রয়োজন হয় তাহলে খুলনা বরিশাল অথবা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এ যেতে হয়।
অথবা নির্ভর করতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর উপর সেখানেও নেই কোন অ্যানেস্থিসিয়া অথবা গাইনির ও ডাক্তার। এক্ষেত্রে অত্র এলাকার গর্ভবতী মায়েরা শতভাগ মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউ এইচ এফ পি ও মহোদয় ডাক্তার মাসুদ রানা মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় এর সাথে এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনের জন্য আশার অনুরোধ জানান।
মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় তাকে আশ্বস্ত করেন যে তিনি সুযোগ মতো পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে আসবেন।