স্টাফ রিপোর্ট ।
জকিগঞ্জে তৃতীয় বারের মতো বন্যা চলছে, এবারের বন্যা গত দু বারের বন্যার চেয়ে বেশি পানি হয়েছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা ও সুরমার পানি বিপদ সীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জকিগঞ্জের ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।গত দু বারের বন্যায় যে এলাকায় ভাঙ্গন হয়েছিল,জনগণ নিজ উদ্যোগে তা মেরামতের চেষ্টা করে কিন্তু টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে না পেরে এবারও সেই বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে জকিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়।
গত বারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ নিয়ে গেলে মানুষ বলেছিল আমরা ত্রান সামগ্রী চাই না, টেকসই বাঁধ নির্মাণ চাই।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, পানি উন্নয়ন বোর্ড যথেষ্ট সময় পেয়েছিল টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে কিন্তু তাদের গাফিলতির কারণে আজ পুরো জকিগঞ্জ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। আমন ধানের বীজ সবই নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকের চোখে বিষন্নতা চাপ কিভাবে জমিতে চারা রোপণ করবে!কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে! বার বার বন্যা হওয়াতে সাধারণ মানুষের পিঠ দেওয়ালে লেগে গেছে! সাধারণ মানুষের চোখে হতাশার চিন্ন! কিভাবে ছেলে -মেয়ের মুখে খাবার তুলে দিবে।
জকিগঞ্জের লক্ষ পানিবন্দি মানুষের একটাই দাবি আমরা ত্রাণ চাইনা টেকসই বাঁধ নির্মাণ চাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির বিচার চাই। লক্ষাধিক মানুষ আর্তচিৎকার দিয়ে যে দাবি উপস্থাপন করছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এখনো তাদের সে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেয়নি!
সিলেট -৫ (জকিগঞ্জ -কানাইঘাট) মাননীয় সংসদ সদস্য মাওলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী এমপি বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে, জকিগঞ্জের লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের একটাই দাবি আমরা ত্রাণ চাই না, টেকসই বাঁধ নির্মাণ চাই। জকিগঞ্জের অসহায় দরিদ্র মানুষের এ করুন পরিস্থিতি থেকে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারবেন টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে মুক্তি দিতে, জকিগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষের আর্তচিৎকারের ধ্বনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনতে পাবেন বলে আশাবাদী।