সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার-
গত দুই দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে পালং- জাজিরা শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পাঁচ বারের সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম. মোজাম্মেল হক সংসদ সদস্য থাকাকালীন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্মরণকালের উন্নয়ন হয়েছিলো পালং- জাজিরাতে। তৈরি হয়েছিলো এক স্বচ্ছ রাজনৈতিক মাঠ। কিন্তু এক অজ্ঞাত কারনে গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলিয় মনোনয়ন পাননি এই নেতা। আর একারনেই থেমে গিয়েছে পালং-জাজিরার উন্নয়নের ধারা। আর বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থকদের অত্যাচারে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ অসংখ্য মানুষ হয়েছে এলাকা ছাড়া। গত পাঁচ বছরে এই দুই উপজেলায় নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। আর তারা সবাই আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের সমর্থক ও নেতা কর্মী। বি.এম. মোজাম্মেল হকের সময়ে পালং- জাজিরার যথেষ্ট উন্নয় ঘটেছিলো এমন কি এলাকার লোকজনও ছিলো শান্তিতে। তাই গত পাঁচ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও এখনো সে সর্বাধিক জনপ্রিয় একজন এম.পি। বি.এম. মোজাম্মেল হক একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে এলাকায় পরিচিত। পালং জাজিরার মানুষ এবারের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলিয় মনোনয়নে পরিবর্তন চায়। বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবার হোসেন অপু পুনরায় মনোনয়ন পেলে আরো কয়েক হাজার মানুষ এলাকা ছাড়া হবে এবং অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটাররা। আতঙ্কিত এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকায়। ইকবাল হোসেন অপুর নিজ উপজেলা পালংয়ে ৪০% লোক বি.এন.পি. করলেও জাজিরা উপজেলার ৯৮% লোক আওয়ামিলীগ করে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে জাজিরার মানুষ প্রচন্ডভাবে অত্যাচারিত হয়েছে এবং অবহেলার স্বীকার হয়েছেন, তাই তারা নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে জাজিরা উপজেলার নেতাদের মধ্যে মনোনয়ন আশা করছেন। নয়তো তারা অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিতেও পিছুপা হবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসাবে পরিচিত জাজিরা উপজেলার সাধারণ মানুষ এবার বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ ভোটাররা জানান। এবার যদি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বি.এম. মোজাম্মেলের মত একজন শিক্ষিত, ভদ্র ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক নেতাকে মনোনয়ন না দেন আর কেউ যদি স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন তাহলে ভোটের ফলাপল পাল্টে যেতেও পারে। তাই পালং-জাজিরার মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।