বিকাল বার্তা প্রতিনিধি>>
পুলিশ হেফাজতে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাথরুমের কথা বলে পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে গেছে ডাকাত জালাল মিয়া। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া ডাকাত জালাল মিয়া মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা দুবাই মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ভোরে এসআই কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জালালসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এর আগে উলুকান্দি গ্রাম থেকে আরও এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার অন্যান্য আসামিরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র রুবেল আহমদ রনি (২৬), সুন্দরপুর গ্রামের আছদ্দর আলীর পুত্র জয়নাল মিয়া (৪২), চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২৪)।
পুলিশের দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় অবস্থানরত ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করতে আসে। তাৎক্ষণিক পুলিশ তাদের ঘেরাও করে আটক করে। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের থানা এলাকায় দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী একটি মামলায় দায়ের করেন।
আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার সময় জালাল পুলিশদের বলে আমি বাথরুমে যাব। সেখান থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।
ওসি আরও বলেন, আসামিকে আমরা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম তারাই দায়িত্বে ছিল। তবে যে ডাকাত পালিয়ে গেছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। আশা করছি অতি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।