মোঃশাহেদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হোমিও চিকিৎসক হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
(১১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনী আল মক্কা হোমিও হল নামের হোমিও চিকিৎসক হেলাল উদ্দীনের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন এসে ধর্ষণের চেষ্টা করার অপরাধে হেলাল উদ্দীনকে ওই নারীর কাছে ক্ষমা চাইলে বলেন।
ভিকটিম উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া পাড়া এলাকার সোহেলের স্ত্রী।
ভিকটিম জানান, তাঁর শিশু বাচ্চার শরীরে এলার্জি হলে চিকিৎসার জন্য পেকুয়া চৌমুহনীস্থ হোমিও চিকিৎসক হেলাল উদ্দীনের কাছে যান। হেলাল উদ্দীন তাঁর শিশু বাচ্চা দেখার পর হেলাল ভিকটিমকে ভিতরের রুমে যেতে বলেন সিটে শুয়ে যেতে বলেন, তাঁর কোমরে ব্যথা আছে কিনা চেক করতে হবে বলে জানন। ভিকটিম শুয়ে গেলে হেলাল ভিকটিমের পায়জামা খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং গাঁয়ের উপর উঠার চেষ্টা করে। ভিকটিম প্রতিবাদ করলে সে সামনে চলে আসে। ভিকটিমের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন হেলালকে অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে বলে! হেলাল আর করবে না বলে ক্ষমা চাই। ভিকটিমের ক্ষতি করার কারণে তিনি ক্ষমা না করবে বলে হুশিয়ারি দেয়।
ভিকটিমের স্বামী সোহেল বলেন, আমার স্ত্রী আমার সন্তানের এলার্জির জন্য চিকিৎসা করাতে পেকুয়া চৌমুহনী আল মক্কা হোমিও চিকিৎসক হেলালের কাছে গেলে, সে আমার স্ত্রীকে শালীনতা হানীর চেষ্টা করে শরীরের স্পষ্টকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমার স্ত্রী আমাকে জানিয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। একজন চিকিৎসক মানুষের জীবন বাঁচায়। এই হেলাল আমার স্ত্রীর জীবন নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। আমি এই ঘটনায় পেকুয়া উপজেলা হোমিও চিকিৎসক সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি।
পেকুয়া উপজেলা হোমিও চিকিৎসক সমিতির সভাপতি ডাক্তার আশিক উল্লাহ বলেন, একজন নারীকে শালীনতা হানির শ্রেষ্ঠ অভিযোগে আমাদের পেকুয়া উপজেলা চিকিৎসক সমিতির সদস্য হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা আমাদের মত তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। হেলাল এর আগে অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে। সোহেলকে পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন, যা হয়েছে তা তাৎক্ষণিক খাইয়ুম সওদাগর ও সোহাগ নামক দুই ব্যক্তি বিচার করে দিয়েছে বলে দাবি করেন।