সম্প্রতি কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় “চাঁদাবাজির অভিযোগে এলজিইডি কর্মকর্তা মো: বাচ্চু মিয়া” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ ধরনের বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমি, মো: বাচ্চুমিয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), ঢাকা জেলা, বরাবরই নীতি-নৈতিকতা, পেশাদারিত্ব এবং সরকারি বিধি-বিধান মেনে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার দীর্ঘ চাকরি জীবনে কখনো কোনো প্রকার অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি। বরং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়াসে আমি সবসময় সচেষ্ট থেকেছি।
প্রকাশিত সংবাদে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তার কোনো বাস্তবভিত্তি নেই। কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র কিংবা উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র বেনামী কথিত ‘ঠিকাদারদের’ বক্তব্যের ভিত্তিতে এ ধরনের সংবাদের প্রকাশ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এটি আমার পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা এবং এর নেপথ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, কারো কাছ থেকে কোনো অর্থ দাবি করা বা এ সংক্রান্ত কোনো আলোচনাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহল ও দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ সত্যকে বুঝতে সক্ষম এবং এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না।
এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—তারা যেন প্রকাশিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে এবং প্রকাশ্যভাবে দুঃখ প্রকাশ করে। অন্যথায়, আমার সুনাম ও পেশাগত সম্মান রক্ষার্থে আইনের আশ্রয় নেওয়া ব্যতীত আমার আর কোনো পথ থাকবে না।
মো: বাচ্চুমিয়া
নির্বাহী প্রকৌশলী
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)
ঢাকা জেলা