আব্দুস সালাম মিন্টু:
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের নেহাল সরদারের বাগ এলাকার বাসিন্দা মওদুদ। গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিবাদ লিপিতে মওদুদ জানান, সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত একটি স্থানীয় পত্রিকায় ‘অপহরন করে মুক্তিপন আদায়ে নেমেছে মদনপুরের যুবলীগ নেতা মওদুদ’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। উক্ত সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একটি কুচক্রি মহল কৌশলে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমাকে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়ানোর চেষ্টা করছে। মূলত আমি কোন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত নই। যে ঘটনার উপর ভিত্তি করে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, সে ঘটনার আমি ব্যাখ্যা তুলে ধরছি। আমাদের নেহাল সরদার বাগের আনোয়ারের বাড়ির দোতলায় একটি মেয়ে ভাড়া থাকে। তার বিষয়ে এলাকাবাসী সন্দেহ পোষন করেছে যে, মেয়েটি দেহ ব্যবসায় জড়িত। সে মোতাবেক দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকাবাসী তার উপর নজর রাখতে থাকে। গত শনিবার দুপুরে মেয়েটি ২জন যুবককে নিয়ে তার রুমে প্রবেশ করে। বিষয়টি এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে সকলে তার রুমে যায় এবং আমিও তাদের সাথে যাই। সেখানে গিয়ে দরজা খুলে যুবক ও মেয়েটিকে আমরা আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এবং তাদের পরামর্শে প্রমাণ রাখার জন্য আমি আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করি। সেখানে তাদের আপত্তিকর অবস্থার ফুটেজ রয়েছে। তখন এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা তাদেরকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দেই। তাদের কাছ থেকে টাকা, চেইন ও আংটি নেয়ার ঘটনা ঘটেনি এবং তাদের বাড়িতে ফোন করিয়ে ২০ হাজার টাকা বিকাশে আনার কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলেছে। এ ঘটনায় আমার বড় ভাই কবির হোসেন ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ করেও সংবাদ ছাপা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়ে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ করেছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সমাজে আমার ও আমার বড় ভাই কবির হোসেনের মান ক্ষুন্ন করার জন্য কুচক্রি মহল সাংবাদিক বন্ধুদেরকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়েছে। তাই যাচাই বাছাই করে ও সঠিক তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি’।