গত ১৮ নভেম্বর /২৪ ধূরুং বাজারের উত্তর পাশে, উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ও জামাত সমর্থকদের সাথে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তাতে আমি কোন প্রকার জড়িত নই।ঘটনার দিন আমি সারাদিন কুতুবদিয়া আদালতে আইনজীবী সহকারী পেশায়, মক্কেলদের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ঐদিন আমি বিকাল অনুমান ৫ টার পরে ধূরুং বাজারে আসি।বাজার এসে প্রথমে মাছ বাজারে যায় সেখান থেকে বাজারে পশ্চিম পাশে এসে ইসমাইল সওদাগরের দোকান থেকে বাড়ির জন্য কিছু চাউল/তরকারি ক্রয় করে, আহাসান ড্রাইভার নামের একজন বিটক রিক্সা চালকের গাড়ি করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তুলে দিয়ে সেখান থেকে, নয়া কাটার আব্দুল করিম,ফরিদ তালুকদার সহ ধূরুং হাই স্কুলের পশ্চিম পাশে বশির মাঝির দোকানে আসি, সেখানে বিএনপি নেতা জসিম সিকদার,নয়াকাটার আব্দুল করিম, ফরিদ তালুকদারের সাথে চা-নাস্তা খেয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকি,সেখানে দোকানদার সহ অনেক লোকজন আমাকে দেখেছে । আমি ধূরুং বাজারে কোথায় থেকে কোথায় চলাফেরা করেছি তাহা ধূরুং বাজারের সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে। উক্ত ঘটনায় আমি কোন প্রকার জড়িত নই। ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও গতকাল দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় আমি ঘটনায় জড়িত আছি মর্মে জামাতের নেতা কর্মীদের সাথে আমার নামও পত্রিকায় দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র রাজনীতির করি এবং বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা পত্রিকার কুতুবদিয়া প্রতিনিধি।মূল কথা হচ্ছে,উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম,আমাদের একটি পারিবারিক সালিশের ইস্যু ধরে গত ০২ জুলাই /২৪ ইংরেজি তারিখ আদালতে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যান ও চৌকিদার সহ কয়েকজন মিলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হইতে রিক্সা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পরিষদের হল রুমে বেঁধে রেখে আমাকে মারধর করে।খবর পেয়ে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ আমাকে আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছিল। যাহা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছিল।পরবর্তীতে উক্ত মারধরের ঘটনার বিষয়ে আমি নিজেই বাদী হয়ে, আব্দুল হালিম চেয়ারম্যান সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে,দ্রুত বিচার আইনের,
দ্রুত বিচার নং ৫২/২৪ ইং মামলা দায়ের করি,যাহা বর্তমানেও চলমান।উক্ত মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যে গত ১৮ নভেম্বর চেয়ারম্যান ও জামাত নেতা কর্মীদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায়,জামাত নেতা কর্মীদের সাথে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা,বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রচার করেছে,যাহা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মানহানিকর।এ ব্যাপারে এলাকার সাধারণ জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি একজন সংবাদকর্মী হওয়ার পরেও আমার কাছ থেকে কোন প্রকার বক্তব্য না নিয়ে এরকম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা দুঃখজনক। এরকম মিথ্যা সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সকল সংবাদকর্মীদের প্রতি অনুরোধ রইল। উক্ত মিথ্যা সংবাদে বিব্রত না হওয়ার জন্য প্রশাসন সহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।