বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জব্বার চৌধুরী বলেন, সাড়ে চৌদ্দ বছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছি। কিন্তু সাড়ে চৌদ্দ হারাম টাকা আমার শরীর স্পর্শ করতে পারেনি। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানি বাবত চল্লিশ হাজার টাকার এক টাকাও নিজের জন্য খরচ করিনি। সব টাকা গরীব দুঃখি মানুষ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় দান করেছি। আসন্ন দিনেও গরীব দুঃখি মানুষের সেবা করে যাব। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত আটটার সময় প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে সাতকানিয়ার ছয় ইউনিয়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কেরানিহাটের একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ধর্মপুর ইউনিয়নে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে সড়কের আবস্থা দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আ’লীগ সরকারের ক্ষমতায়নে দেশব্যাপী লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন হলেও মনে হয়েছে ধর্মপুরে কোন উন্নয়ন হয়নি। সাতকানিয়ার আংশিক অংশকে বৈষম্যের শিকার মনে হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে এই বৈষম্যের শিকল ভেঙ্গে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মিশন ভিষণ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করব।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জব্বার বলেন, সমস্ত অপরাধের জন্ম হয় বেকারত্ব থেকে। আমি সর্ব প্রথম বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করব। চন্দনাইশ সবজির এবং ফল ফলাদির জন্য উর্বর একটি জায়গা। আধুনিকায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল জব্বার বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা অবাধ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন। সুতরাং নির্বাচনে কোন প্রকার সংঘাত সহিংসতা হবেনা বলে বিশ্বাস করি। জনগণ যাকে চায় আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করবে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে নির্বাচিত হবে তাকে আমরা সাদরে গ্রহণ করবে। নির্বাচনী প্রতিক পেয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচণী প্রচারনা শুরু করেছেন চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জাব্বার চৌধুরী। তার নির্বাচনী প্রতীক ট্রাক। এখানে নজরুল ইসলাম আ’লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকার প্রার্থী হয়েছে। এ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী থাকলেও নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আবদুল জব্বারের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবির রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আমনুর রশিদ হিরু, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবর আলী ইনু, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস ইসলাম খান, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শেখ টিপু চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বায়েজিদ, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনির আহমদ ও বোরহানউদ্দিন প্রমুখ।