স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সিগঞ্জ জেলার, সিরাজদিখান থানায় কেআই ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে শনিবার সকাল এগারোটার দিকে দুই গ্রুপে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি সহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হন অনেকে। এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আসামীদ্বয় ১। মোঃ ফয়সালর (৩৫), ২। মোঃ আয়নাল (৪৫), উভয় পিতা নের জমির আলী ৩। মোঃ উজ্জাল (৩৪) পিতা লেভুমিয়া ৪। মোঃ মাসুদ (২৬), ৫। মোঃ মারুফ (২৪), উজ্যর পিতা হাবিবুর রহমান ৬। মোঃ জসীম (২২),পিতা মোঃ জামাল ৭। মোহাম্মদ আলী (৫০), পিতা-মৃত বাবুর আলী ৮। মোঃ মাহমুদ (২৫), পিতামোঃ নাজির আলী ৯। ফারুক (২৬), ১০। মোঃ মোক্তার (৪৫), উভয় পিতা আলী হোসেন সহআরো নামা ৫/৭ জন্য সাং-উত্তর ইসলামপুর, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সীগঞ্জগন অদ্য ইং ২৬/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার বিষয় নিয়া অপরপক্ষের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অপরপক্ষ সিরাজদিখান থানাধীন কেয়াইন ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর ইসলামপুর আমার বসত বাড়ীতে আসিয়া আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। অপরপক্ষ কে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে মোঃ ফয়সাল হত্যার উদেশ্যে আমার বড় ভাই আশরাফ (৫০) মাথার উপরিভাগে তাহার হাতে থাকা দা দ্বারা কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং মোঃ জসিম তাহার হাতে থাকা বটি দ্বারা আমার চাচাতো বোন সুরাইয়া (২০) এর বাম পায়ের হাটুর নিচে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার ভাতিজা হৃদয় (১৮) এর মাথায় ৯ নং আসামী তাহার হাতে থাকা চাপাতি দ্বারা আঘাত করিয়া তাহার মাথায় গুরতর রক্তাক্ত জখম করে। এবং অন্যান্য বিবাদীরা আমি সহ আমার পরিবারের অন্যানর্য সদস্যদেরকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া আমাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। মারপিটের সময় অপরপক্ষের লোকজন আমার ভাই আশরাফের ঘরে প্রবেশ করিয়া তাহার ঘরে থাকা স্টীলের আলমাড়ী ভাঙ্গীয়া আলমাড়ীর ড্রয়ার খুলিয়া নগদ ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা ০২ ভরী ওজনের স্বর্নালংকার যাহার মূল্য অনুমান ২,৭০,০০০/- টাকা এবং অপর ঘরে ডুকে আমার ঘরের স্টীলের আলমাড়ী ভাঙ্গীয়া ও আলমারীর ড্রায়ার হইতে নগদ ৪০,০০০/- টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে আমিসহ আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হইলে আমাদেরকে আমার ভগ্নীপপতী মোঃ আমজাদ হোসেন (৩৭) সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইছাপুরা নিয়া গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া আহাদের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাহাদেরকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিটফোর্ড ঢাকা প্রেরন করেন।