বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা:
খুলনার বটিয়াঘাটায় ইজিবাইক চালক হাফিজুল ইসলাম হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪(One Sixty Four)ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে মোঃ হাসান নাকিব ও তার স্ত্রী রেশমা খাতুন। সোমবার বিকেলে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক অমিত কুমার মন্ডল। জবানবন্দি শেষে আদালত তাদের দু’জনকে কারাগারে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার পুলিশ বিষয়টি জানায়।
এর আগে ইজিবাইক চালক হাফিজুল হত্যার অভিযোগে পুুলিশ রোববার রাতে খালিশপুর এলাকা থেকে রেশমা খাতুন এবং হাসান নাকিবকে বাগেরহাট থেকে গ্রেফতার করে। এ সময়ে পুলিশ তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চা-পাতি ও নাইলনের দড়ি উদ্ধার কারা হয়।
চালক হাফিজুল হত্যার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, হাফিজুল নগরীর খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা। হত্যাকারী হাসান নাকিব ও তার স্ত্রী রেশমা খাতুন নিহত হাফিজুলের প্রতিবেশী। ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্য ওই দম্পত্তি পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় হাসান। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে খালিশপুর থানাধীন লাল হাসপাতাল চৌরাস্তার মোড় থেকে বটিয়াঘাটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাফিজের ইজিবাইকে হাসান নকিব ভাড়া নেয়। পথিমধ্যে হাসানের স্ত্রীকে নয়াবাটি মোড় থেকে ইজিবাইকে তুলে নেয় হাসান। কিন্তু তখনও হাফিজুল আঁচ করতে পারেনি কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হবে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা এলাকায় ইজিবাইক নিয়ে হাফিজুল পৌঁছামাত্র হাসান ও তার স্ত্রীর কাছে থাকা নাইলনের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাদের কাছে থাকা চা-পাতি দিয়ে গলায় আঘাত করে হাসান নকিব। আঘাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে মরদেহটি রাস্তার পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত উপকরণগুলে ঘটনাস্থল থেকে দূরে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে খানজাহান আলী সেতু পার হয়ে তারা বাগেরহাটের দিকে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর চার্জ না থাকায় ইজিবাইকটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ইজিবাইক টেনে নেওয়ার জন্য তারা বাগেরহাট থেকে অপর একটি ইজিবাইক নিয়ে আসে। কেউ যেন তাদের সন্দেহ না করে সেজন্য রেশমা খাতুন খালিশপুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসে।
৯ মার্চ রাত পৌনে ১২টার দিকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ১১/১ খালিশপুর সেন্ট্রাল ওয়েস্ট রোড এলাকা থেকে রেশমা খাতুনকে আটক করে। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তার স্বামী হাসান নাকিবকে বাগেরহাটের সিএন্ডবি বাজার থেকে আটক করা হয়। এ সময়ে হাফিজুলের ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি বাগেরহাট সদর থানাধীন কুলিয়ারদাড় এলাকার জনৈক হায়দার শেখ-এর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। উভয় পুলিশের কাছে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে চাইলে তাদের বিকেলে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
উলেখ্য, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার ২নং ইউনিয়নের জনৈক সত্যজিত রায়ের জমি থেকে নগরীর খালিশপুর এলাকার ইজিবাইক চালক হাফিজুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাফিজুলের মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উলেখ করে বটিয়ায়ঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আটক করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের দায় স্বীকারের পর তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ