প্রিয়াংকা নিয়োগী, কোচবিহার ভারত।
বর্তমানে কারো সাথে কারো মানসিকতার পার্থক্য হলেই সাইকো বলে খোটা দেওয়া হয়।একজন ব্যাক্তি যত না কোনো সমস্যায় পড়ে চিন্তানিত্ব থাকে,তার থেকে একজনের কথায় বেশি চিন্তানিত্ব হয়ে পড়ে।
বর্তমানের কমনকথা কারো সাথে মতের অমিল,বনিবনা না হলেই সেই ব্যক্তিকে সাইকো বলে উল্লেখ করা বা তার বৈশিষ্ট্য হিসেবে ধরা।
কাউকে সাইকো বলার আগে একবার ভাবা উচিত
এই জগত সংসারে প্রতিটি মানুষই সুখ,দুঃখ এবং সমস্যা নিয়ে।একেকজনের পরিস্থিতি ও পরিবেশ আলাদা। তাই একেকজনের মেনে নেওয়া এবং আচরণভঙ্গী একেকরকম।কথাবার্তাও মানুষ মাত্রই ভিন্ন।তাই সুস্থ সময়ে যে কোনো মানুষের আচরণ সুস্থ্ই থাকবে।প্রয়োজনে তর্ক ও প্রতিবাদ করবে।একেকজন অনেকসময়ই প্রতিবাদ বা নিজের বক্তব্য রাখার সময়
স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেনা বা স্থান,কাল ও পাত্রের জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।সেই বিষয়টা আলাদা।
কিন্তু আজকাল মানুষকে মোখ্য জব্দ করার জায়গা হোলো – “তার সাইকো সমস্যা আছে” এটা মুখের উপর বলা ও প্রচার করা।
যদি বিজ্ঞান ঘাঁটি তাহলে দেখতে পাবো বিজ্ঞানেও আছে প্রতিটি মানুষের একটু হলেও সাইকো আছে।তাই বলে এই নয় কেউ কাউকে জব্দ করা বা মানসিকভাবে আঘাত করার জন্য একজনকে সাইকো বলে চিহ্নিত করবে।
লেখক:
প্রিয়াংকা নিয়োগী,
কবি,গল্পকার, প্রাবন্ধিক, আবৃত্তিশিল্পী, কোচবিহার ভারত।