আবুল কাশেম আযাদ,স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম বাঁশখালী পৌরসভায় শাহ আলম (৩৫) নামের ১ বেকারি শ্রমিকের খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার সেকেন্ড অফিসার কায়কোবাদ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে শাহ আলমের লাশ বেকারির মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
নিহত শাহ আলম সাতকানিয়া থানাধিন ১৬ নাম্বার সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুপকানিয়া ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মাইজপাড়া মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র।
জানা গেছে, নিহত শাহ আলম বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ মায়ের দোয়া বেকারিতে শ্রমিকের কাজ করতো। এখানে সে প্রায় ২ বছর ধরে আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই বেকারিতে ভাত খেতে বসে শাহ্ আলম।
সেখানের আরেকজন শ্রমিক উপজেলার স্থানীয় পূর্ব-জলদী লস্কর পাড়া সিন্নিপুকুর পাড় এলাকার মাহাবুব আলমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারি হয়। বিষয়টি জেনে বেকারির মালিক এজহারুল হক ২জনকে ডেকে সরিয়ে দেন।
পরেরদিন সকালে প্রায় সাড়ে পাঁচটার দিকে দেখা যায় শাহ্ আলম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বেকারিতে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বেকারির মালিক এজহারুল হক জানান, ‘গতকাল দুপুরে নিহত শাহ আলমের সাথে স্হানীয় মাহাবুব আলমের কথা কাটাকাটি হয়। মারামারির খবর পেয়ে তাদেরকে সরিয়ে নিই । এদিন রাতে শাহ্ আলম সহ ৭/৮জন শ্রমিক বেকারিতে ছিলেন। মাহাবুব প্রতিদিন বাড়িতে চলে যায়। সকালে আসেন কাজে। ঘটনার রাতে শাহ আলমের সাথে থাকা কয়েকজন ফজরের নামাযের জন্য চলে যায়। শাহ্ আলম উঠে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। নামায শেষে আসা শ্রমিকরা শাহ আলম কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত শাহ আলমের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাঁশখালী থানার ওসি তদন্ত শুধাংশু শেখর হালদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘বেকারির শ্রমিক শাহ আলমকে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎফর রয়েছে। এঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও সন্দেহজনক মাহাবুব আলম নামের একজন পলাতক আছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ