রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী,
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রামামান ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছে ট্রেন ভ্রমণকারী পথচারি ও সাধারণ মানুষেররা। এতে পথ চলতে বিঘ্ন হচ্ছে পথচারি ও সাধারণ মানুষদের। এইসব ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বেশির ভাগ কিশোর বয়সী। এরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোর গ্রাম পর্য্যায়ে রাস্তা ঘাটে অনায়াসে ছিনতাই করে,, দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করছেন। চলন্ত অবস্থায় ছিনতাই হওয়ায় হাতেনাতে ওই কিশোর গ্যাংদের ধরতে পারছেন না প্রশাসন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় উপজেলাগুলোর ছোট বড় হাট বাজার এলাকায় একই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত দুই তিনজন অপরিচিত কিশোর বয়সী ছেলেরা বেপোরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। সুযোগ পেলেই কারো মোবাইল ফোন, মহিলাদের স্বর্ণের চেইন ও ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিচ্ছে।
এইসব কিশোর অপরাধী ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন রাস্তার ফাঁকা জায়গাগুলোতে অবস্থান নেয়। সুযোগ বোঝে পথচারি ও সাধারণ মানুষদের সর্বশান্ত করছে। বিভিন্ন জেলা সদরেও এমন ঘটনা অহরওহর ঘটছে।
আরো জানা যায়, অপরিচিত এই কিশোর গ্যাং ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন অপরিত্যাক্ত জায়গায় অবস্থান করে তিন চার পাঁচ জন,দলবদ্ধ হয়ে থাকে, এলাকাগুলোতেও অবস্থা নিয়ে থাকে। যে সকল রোডে মানুষের চলাচল কম সে সব রোডে বেশি থাকে,
কোন পথচারির ফোনে কল আসলে, সে যদি ফোনে কথা বলতে বলতে পথ চলে, তাহলে ওই ভ্রামামান কিশোর বয়সী ছিনতাইকারীরা চলন্ত অবস্থায় ওই পথচারির ফোন চিলের মত থাবা মেরে নিয়ে লাপাত্তা হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলার সাধারণজনগণ ।
ভুক্তভোগী সোয়াইব নামে এক ব্যাক্তি জানান, তিনি রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের গণকৈড় গ্রামের বাসিন্দা।
সে গত বুধবার সন্ধায় বাড়ি হতে ঝিনার বাজারে পায়ে হেঁটে মোবাইলে কথা বলতে বলতে যাচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ী বাবুলের বাড়ির কাছে ঝিনার বাজার হতে আসা মোটরসাইকেলে দুইজন এসে আমার মোবাইল ফোন চিলের মত ছুঁ মেরে নিয়ে দ্রত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ওই ছিনতাইকারীরা।
এর আগে একই ইউনিয়নের উজাল খলসী বাজার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। শুধু দুর্গাপুরে নয় বাংলাদেশের সব জেলা সব উপজোগুলোতেই প্রকাশ্য ঘটছে এমন ঘটনা।
তবে, অভিজ্ঞ মহলের দাবি, বর্তমানে কিশোর বয়সী স্কুল কলেজ পড়ুয়া ঝড়ে পড়া শিক্ষা বঞ্চিত বেকার কিশোর বয়সী ছেলেরা মেয়েরা যে পরিমান নেশায় আসক্ত হয়েছে। এরা নেশার টাকা যোগাড় করতে এমন ছিনতাইয়ের মত অপরাধ করছে। এরা শুধু ছিনতাই নয়, নেশার টাকার জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার মত যঘিণ্ন ঘটনাও ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস এদের স্বাক্ষী রয়েছে।
প্রশাসন প্রতিনিয়ত নেশাখোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে যে সেই? শহরে গ্রাম পর্য্যায়ে ছিনতাই চুরি,মাদকের ছড়াছড়ি, এতোটা ইতিপূর্বে ছিলো না। আমরা পেপার পত্রিকা বা টেলিভিশনে শোনতাম। শহরে ছিনতাই খুন অহরহ হচ্ছে। কিন্তু এখন গ্রাম আর শহর তেমনটা কোনও পার্থক্য নাই। এটা থেকে সমাজ ও দেশকে ভালো থাকতে গেলে প্রথমত জনগনের রক্ষক প্রশাসন ও পাশাপাশি পারিবারিক শাসন জরুরি প্রয়োজন।
আমার আপনার ছেলে বা মেয়ে কোথায় কার সাথে চলাচল করছে এটা পারিবারিক মনিটরিং এর প্রয়োজন। তবে যদি কমে আসে এ কিশোর অপরাধীদের সংখ্যা। পাশাপাশি নেশাগ্রস্ত মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের জামিন না দিয়ে দীর্ঘ সময় জেলহাজতে রাখা প্রয়োজন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের পারিবারিক মনিটরিং টাই বেশি জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল, ভুক্তভোগী ও সাধারণ পথচারিগণ।
টেপানটাটল ট্যাবলেট,ইয়াবা,ফেনসিডিল, এস্কাপ, আইস,পেথারিনের মতো ভয়ংকর, নেষা থেকে বাংলাদেশের যুব সমাজ কে রক্ষা করতে সচেতন নাগরিক গন এগিয়ে আসুন।