দ্বীপক চন্দ্র সরকার: এই প্রজন্মে নতুন নতুন অনেক শিল্পীই নিজের মিষ্টি কন্ঠ দিয়ে শ্রোতা দর্শকের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। অনেক শিল্পীর কন্ঠ এতো সুরেলা এবং মিষ্টি, যারা আগে শোনেননি তারা ধারনাও করতে পারবেন না। তানজিন মিথিলা’র কন্ঠ ঠিক এমনই মিষ্টি একটি কন্ঠ।
নেত্রকোণার মোঃ আবু তাহের ও তাহমিনা ইয়াসমিন দম্পতির ছোট সন্তান তানজিনা মিথিলা। ছোটবেলায় গানে তার হাতেখড়ি অনিতা দেবীর কাছে। এরপর তিনি গান শিখেছেন নেত্রকোণা শহরের শতদল সংস্কৃতি একাডেমির রতন সরকারের কাছে। এরপর তিনি নেত্রকোণার বাংলার সুজন তোপদারের (ন্যানসি যার কাছে গান শিখতেন) তার কাছেও সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন। মিথিলা তার নানাকে ছোটবেলাতেই হারিয়েছেন। নানা তাকে আদর করে মিশু বলে ডাকতেন। মিথিলার প্রকাশিত প্রথম মৌলিক গান ছিলো তার নিজেরই লেখা ও সুর করা ‘আঁধো আঁধো’ গানটি। মিথিলার প্রথম একক অ্যালবাম ‘মনরে’ প্রকাশিত হয় লেজার ভিশন থেকে। এরপর একক গান ‘ছুঁয়ে দিলে হাত’ প্রকাশিত হয় জি—সিরিজ থেকে। এই গানও তার নিজেরই লেখা ও সুরে। মিথিলা জানান, বেশকিছু নাটকেও তার গান রয়েছে। তবে বাংলাদেশ বেতার বা বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি তালিকাভুক্ত ছিলেন না। চলতি বছরেই তিনি বিটিভির আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আর সৌভাগ্য হলো তালিকাভুক্ত হয়েই তিনি ‘মা’ শিরোনামের একটি মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ পেলেন গেলো ১০ মার্চ। সেদিন কক্সবাজার থেকে শো শেষ করে সরাসরি বিটিভিতে গিয়ে গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন করেন। গানটি লিখেছেন রুশমী চৌধুরী, সুর সঙ্গীত করেছেন ফরিদ বঙ্গবাসী। তানজিন মিথিলা বলেন, ‘গানে আজকে আমার যতোটুকুই অবস্থান হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট আমি। আমি কৃতজ্ঞ আমার গানের গুরু অনিতা ম্যাডাম, রতন স্যার, সুজন স্যারের কাছে। তাদের কাছ থেকে গানে তালিম নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আর আমার নিজের শ্রম, অধ্যবসায়তো ছিলোই। আমার বাবা মা ভাই বোন অনুপ্রেরণা দিয়েছে সব সময়। আর আমার গানের যারা শ্রোতা, তারা আমাকে আমার প্রতিটি গান প্রকাশের সময় থেকে শুরু করে এখনো অনুপ্রেরণা দেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ বিটিভি পরিবারের প্রতি। আমার জীবনের নতুন পথচলা শুরু হলো বিটিভিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে। আজীবন গানই করে যেতে চাই। অনেক বড় হতে পারবো কী না জানিনা, তবে শুদ্ধ সঙ্গীত করে যেতে চাই।’ ৫ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া মিথিলা লালমাটিয়া কলেজে সমাজ বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন।