আমিনুল ইসলাম রনি আমিন স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার
*********************
প্রকৃতি তার নিজস্ব স্বাভাবে চলে, আমরা প্রকৃতির প্রতি স্বভাবসুলব যে আচরণ করি প্রকৃত তাতে ক্ষুব্ধ। আমরা গাছ কেটে উজাড় করি বন, ইট বাটায় জ্বলে প্রকৃতির প্রাণ গাছ, জলাশয় ভরাট করে গড়ি ঘর বাড়ি, খাল নদী তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেই না।যেখানে সেখানে কল কারখানা, ফিটনেস বিহীন গাড়ি কালো ধুঁয়ার কুণ্ডলী।
এসব বিষিয়ে তুলছে প্রকৃতিকে। প্রকৃতির এখন বদলা নেওয়ার পালা! অতি বৃষ্টি অনাবৃষ্টি প্রখর রোদ বাতাসে আগুনের তাপ, বিষাক্ত অক্সিজেন, আদ্রতা হারিয়ে গেছে বাতাস থেকে! মরুভূমির দেশে প্রবল বৃষ্টি বন্যা এসব প্রকৃতির এই অভিশাপ। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব আজ অস্থির, উন্নত বিশ্বে মানুষ মারার অস্ত্রের বাজেট হয় আকাশচুম্বী আর জলবায়ু পরিবর্তনের বাজেটে কৃপণতা! আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী সভা সেমিনার করে যাচ্ছেন, চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়া যায়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই, আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে সকল প্রকার গাছ কাটা থেকে, বেদখল হয়ে যাওয়া খাল নদী দখল মুক্ত করে নব্যতা ফিরিয়েআনতে হবে । পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোন মিল কারখানা করা যাবে না, বাড়ি ঘর তৈরিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব, বাধ্যতামূলক সবুজায়ন রাখতে হবে। মনিটরিং এর জন্য পরিবেশবাদী সংগঠনগুলিকে কাজে লাগাতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় কোনরকম আপস নয়। স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের কে বৃক্ষ রোপনের উৎসাহিত করতে হবে, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য বছরে অন্তত দুটি গাছ লাগানো কে বাধ্যতামূলক করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে বৃক্ষরোপনে নির্দেশ থাকতে হবে। দেশকে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে আগামী কয়েক বছরে প্রকৃতির বিরূপ আচরণে আমাদেরকে ধ্বংস হয়ে যেতে হবে!