মো: শুকুর আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুখ্যাত খুনি চাঞ্চল্যকর মাসুদা আক্তার (স্বপ্না) হত্যার মূল আসামি ০২ জুন রবিবার ১২ ঘটিকায় আমড়িয়া স্কুল থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন, মো: আইনুল হক (১৮) পিতা: মো: জামাল উদ্দিন, গ্রাম: আমড়িয়া, দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন, ওয়ার্ড নং-২, বিশ্বম্ভরপুর,সুনামগঞ্জ।
১লা জুন (শনিবার) সকাল ১০ ঘটিকায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমড়িয়া গ্রামে ২নং ওয়ার্ডে পারিবারিক কলহ কে কেন্দ্র করে ৩ সন্তানের জননী মাসুদা আক্তার স্বপ্না-কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, আমড়িয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের (চার)ছেলে ও (দুই) মেয়ে প্রথম পুত্র নবাব মিয়ার জননী কে চতুর্থ পুত্র আইনুল হক পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তার ঐ তিন ভাবির সাথে বাকবিতণ্ডার শুরু হয় বহুদিন ধরে । কিন্তু এক পর্যায়ে আইনুল তার ভাবিদের কাছে আমকে কেন্দ্রকরে কথা কাটাকাটি মাধ্যমে টিউবওলের ডাণ্ডি দিয়ে নবাবের স্রীকে আঘাত করে। পরে ঘরথেকে ছুরি এনে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
নিহত মাসুদা আক্তার (স্বপ্না) বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু মিয়ার মেয়ে। দুর্ঘটনায় সময় বসতবাড়িতে উপস্থিত থাকা দুই বাবি মর্জিনা বেগম ও ইয়াসমিন বেগমকে ও আইনুল হক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন। মর্জিনা বেগম ও ইয়াসমিন বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দু’জন কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলমান।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শ্যামল বণিক জানান, চাঞ্চল্যকর মাসুদা আক্তার স্বপ্না হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আইনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাসুদা আক্তার স্বপ্না হত্যার পরে ভিকটিমের পিতা মোঃ নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া নিজ বাদি হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেন।গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি আইনুল হক কে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।