মো:শুকুর আলী,স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মফিজুর রহমান-সহ তিন কর্মকর্তার বিচারের দাবীতে ২০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ বিপ্লবী চত্বরে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা সর্বস্তরের জনতার আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে জন গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সদর আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কারীদের সাথে অসৎ আচরণ সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা বিপ্লবী চত্বরে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ও সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমানের বিভিন্ন অপকর্ম, অসৎ আচরণ ও অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারি আল-আমিন ও ইউএন ও অফিসের আউটসোর্সিং এ কর্মরত!আলাল উদ্দিনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা আরো বলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরে উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের জায়গায় ৫টি দোকান ঘর ভাড়া দিয়ে সরকারি কোষাঘারে টাকা জমা না দিয়ে অফিসার্স ক্লাবের ফান্ডে জমা করছেন। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ প্রশাসন ভবনের সামনে হাওর বিলাশের ক্যান্টিন উপযুক্ত সংস্কার না করে টিন সেড স্থাপনা হিসেবেই রাখছেন, ফলে হাওর বিলাশে প্রকৃত সুন্দরর্য্য বিনষ্ঠ হচ্ছে, সেই সাথে সরকারের অর্থ অপচয় করছেন। এছাড়াও উপজেলা সদরের মাল্টিপারপাস সেন্টারটি লাইটিং সহ নানা অব্যবস্থাপনায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে ফলে দর্শনার্থীদের সাথে অসৎ আচরণে দর্শনার্থীর উপস্থিতি দিন দিন কমছে। এছাড়াও ফসল রক্ষা বাঁধ কমিটি গঠনের জন্য কমিটির অধিকাংশ সদস্যদের সাথে পরষ্পরের যোগসাজশে ফসল রক্ষা বাঁধ কমিটি(পি আই সি) গঠন করেছেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে যার নেপত্তের কারিগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য-সহকারী আল-আমিন।
এছাড়াও সাধারণ নাগরিককে জলমহাল, পিআইসি, বালুমহাল, হাট বাজার সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুষ গ্রহনের জন্য স্বৈরাচারের দুসর হিসেবে পরিচিত তার ব্যক্তিগত ঘুষ বাণিজ্য অব্যাহত রাখছেন আলাল-উদ্দিন।
ইউএনও অফিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল থাকলেও আলাল উদ্দিন সরকারি বা মাষ্টার রোলে কোন বেতন না থাকলেও (ইউএনও নিজস্ব ফান্ড হতে বেতন দিয়ে থাকেন) অবৈধ বালু মহাল, বর্ডার চোরা চালান,মাদকসহ, অবৈধ ভাবে,
বিশ্বম্ভরপুর বাজারে নৌকায় বালু উত্তোলন, যাদু কাটা নদীর বিশ্বম্ভরপুর অংশ হতে অবৈধ টাকার আদায়ের একমাত্র মাধ্যম হলো আলাল উদ্দিন। উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কমিটি তার অনুগত লোকদের সদস্য করে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছেন এবং মিলে মিশে ফায়দা হাসিল করছেন। এডিবি সহ বিভিন্ন কাজ তার পছন্দের টিকাদারের নামে কাগজে কলমে
বরাদ্দ দিয়ে তিনি নিজেই টিকাদারি করছেন। বিভিন্ন হাট বাজার স্থায়ী ইজারা না দিয়ে খাস কালেকশনের নামে বাণিজ্য
চালিয়ে যাচ্ছেন ঐ আলাল উদ্দিন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্বম্ভরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা – শাহ রাকিব, শাহনুর, সজল খান, মোবারক হোসেন, মোস্তাকিম হাসান শিপু, শাকিল আহমেদ, জুবায়ের হোসেন, ইমদাদুল হক ইয়াহিয়া, ইমাম হোসেন প্রমূখ।