সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
লম্পট আওয়ামীলীগ নেতার ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় ৩ নিরীহ সাংবাদিক।তাদের একের পর এক মিথ্যা মামলা, নিজেদের সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে মানসম্মান নিয়ে চিনিমিনি খেলে সমাজের কাছে নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।শুধু তাইনা তারা এই নিরীহ সাংবাদিকদের একদিকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে, অন্যদিকে বর্তমান পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলায় আসামী করার পায়তারা করছে।তাদের এমন ঘৃণ্য অপরাধ সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার নিবন্ধন নিয়ে? রুমন মাস্টার রোলে চাকুরী করে সিলেটের আলমপুরে পুরুষ যুবপ্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।সেখানে বিভিন্ন জাল সাটিফিকেট তৈরি করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গোলাপগঞ্জ আওয়ামিলীগ নেতা সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমন ও সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার এলাকার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুক্তিযুদ্ধা সাইদুর রহমান আক্তারের পুত্র সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল তাদের রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার করে ছাত্র আন্দোলনে গোলাপগঞ্জে গুলাগুলিতে মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ মেঠাতে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দৈনিক যুগ-যুগান্তর পত্রিকার সিলেট জেলা প্রতিনিধি লাকী আক্তার এবং দৈনিক বিকাল বার্তা ও চ্যানেল ২৬ এর সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোচীফ আব্দুল আলীম রানাকে আওয়ামিলীগ এর লেবাস পড়িয়ে গত ৫ আগস্ট গোলাপগঞ্জে গুলা-গুলিতে ৬ জন নিহত হওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আসামী করার এক গভীর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশা করছে।
গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৬.২০ ঘটিকার সময় sylhetnews2021@gmail.com থেকে সিলেটের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার ইমেইলে এরকম একটি সংবাদ প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়।ফেইক ইমেইলে পাঠানো সংবাদের শিরোনাম ছিলো “উস্কানিদাতা আওয়ামীলীগ নেত্রী লাকি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিববার”।
অথচ সংবাদকর্মী লাকী আক্তারকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং সিলেট মহানগর যুব-মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।যাহার সংবাদ সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় ছাপা হয়।এর পর থেকে লাকী অভিমানে রাজনীতি বাদ দিয়ে শুধু সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেঁচে নিয়েছে।সাংবাদিক আব্দুল আলীম রানাকে বলা হয়েছে ছাত্রলীগের উপশহর গ্রুপের ক্যাডার অথচ গত ১-৭ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় ছাত্রদল ক্যাডার বানিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।সেই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাসেম রুমন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের ২৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুরুদ্দীন রাসেল।তাদের দ্বিমুখী নীতি সমাজে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
প্রকৃতঘটনা হচ্ছে প্রতারক নুরুদ্দীন রাসেল কাবিন ছাড়া মুল্লা দিয়ে আখদ্ পড়িয়ে প্রতারণার মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া লাকী আক্তারকে ২য় বিয়ে করে।এরপর তারা দক্ষিণ সুরমার মোগরাবাজারের খালেরমূখ নামকস্থানে দুই বছর যাবৎ বাসা ভাড়া নিয়ে ঘরসংসার করে,কিন্তু লাকী কাবিনের জন্য রাসেলকে চাপসৃষ্টি করলে শুরু হয় দন্ধ।এরপর বৈচিত্র্যময় সিলেটে কর্মরত লাকী বিষয়টি সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাসেম রুমনকে জানালে সে লাকীকে তাহার বেডের সঙ্গী হতে প্রস্তাব দেয়,লাকী তাকে অপমান করে।লাকী বুঝতে পারে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক একজন লম্পট।তাই লাকী নিজেই চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠায়।এসময় লাকী ও রাসেল অনলাইন ৫২ টিভিতেও কাজ করতো।তখন রাসেল ৫২ টিভির ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলো।তাদের দুজনের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশিত হলে ৫২ টিভি থেকে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার লাকী ও রাসেলকে পেইজের এডমিন থেকে বাতিল করে ৫২ কর্তৃপক্ষ।এর পর থেকেই রাসেল-রুমন লাকীর উপর একেরপর এক মিথ্যা মামলা ও সাধারণ ডায়রী দায়ের করে হয়রানি করছে।লাকীর নামে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকাসহ আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় মিথ্যা ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে,যাহার কোন ভিত্তিনাই।তাদের উদ্দেশ্য লাকীকে সিলেট থেকে বিতারিত করা।কিন্তু লাকী নাছুরবান্দা সত্যের জন্য সে মরতে রাজী শেষ দেখতে চায়।তাহার সত্যে লড়াইয়ে সাংবাদিক কামরুল হাসান জুলহাস ও আব্দুল আলীম রানা মৌখিক পরামর্শ দেয়ার কারনে তারাও লম্পট রাসেল-রুমনের শত্রু হয়েছেন।এই জন্য কামরুল ও রানাকে বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় তাদের বক্তব্য না নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে,অথচ তাদের নামে কোন মামলা নাই।তারপরও সমাজে খারাপ বানানোর বৃথা চেষ্টা করছে।
গত ২৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে বখাটে রাসেল দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে পেয়ে হুমকি দেয়,গুন্ডা ভাড়া করে মেরে ফেলার ও না হয় ২ লাখ টাকা খরচ করে।যে কোন হত্যা মামলায় আসামী করবে।এরপর দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এখন হত্যা মামলায় ঢুকানোর চেষ্টা করছে।যে ৪ ও ৫ তারিখের ঘটনা নিয়ে গুলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায় রাসেল-রুমন। সেই তারিখ ও সময়ে লাকী ও রানা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সিলেট বন্দরবাজার মধুবন মার্কেটের সামনে ছিলেন যাহা সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই সত্যতা পাওয়া যাবে।
এই দুই সাংবাদিক নামধারী আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যপারে সজাগ থাকতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা সমন্নয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিরীহ সাংবাদিকেরা।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ