সিলেট থেকে বিকাল বার্তা প্রতিবেদক :: সিলেটে সিলগালা আবাসিক হোটেল নাম পরিবর্তন করে ভিন্ন নামে হোটেল পরিচালনা অপরাধীদের, দেদারসে চলছে দেহ ব্যবসা। বখরা পেয়ে হলুদ সাংবাদিক দেখেও না দেখার ভান করে, পুলিশের এমন ভাব যেন তারা কিছুই জানেইনা। অথচ ফাঁড়ি থেকে ৩শ গজ দূরে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলে এই অবৈধ ব্যবসা।
ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা অনেকেই পড়েন বিপাকে। লোকলজ্জার ভয়ে কিছু না বল্লেও আধ্যাতিক নগরীতে হোটেল গুলোতে এমন অবৈধ ব্যবসায় তারা বিচলিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় সিলেটের উত্তর ও দক্ষিণ সুরমার এমন কোন আবাসিক হোটেল নেই যেখানে চলেনা প্রকাশ্য বা গোপনে দেহব্যবসা। আর এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত দূর্ণীতিবাজ কিছু পুলিশ, কথিত সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিক নেতা, স্থানীয় কিছু পাতি নেতা। সবাই এই অবৈধ দেহব্যবসা থেকে বখরা পায় নিয়মিত। যারা এই অবৈধ ব্যবসার প্রতিবাদ করে বা সংবাদ প্রকাশ করে তারা সেজে যায় চাঁদাবাজ। দেহ ব্যবসায়
জড়িত হলুদ সাংবাদিকরা আবার জাতীয় পত্রিকার সম্পাদককে ফোন দিয়ে বলে কেন এই সংবাদ প্রকাশ করছেন। অথচ সে একটি স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক সেই কথা ভূলে যায়। যারা ফোন করে তারা যে দেহব্যবসার সম্রাট সেটাই প্রমানিত হলো ফোন কলের মাধ্যমে। সাংবাদিক এতো নিচে নামতে পারে, চামরা বিক্রির টাকা দিয়ে পরিবার চালায় আবার বড়ো সাংবাদিক দাবী করে ডেমাগ দেখায়। দেহব্যবসায়ীদের থেকে যে সমস্ত সাংবাদিক ও পুলিশ সাপ্তাহিক বা মাসিক বখরা নেয় তাদেরকে সবার আগে আটক করে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে অপরাধ বিশ্লেষক ও সচেতন মহল মনে করেন।
উল্লেখ্য গত ২২শে জুন
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ০৭.১৫ ঘটিকার সময় এসআই(নি:)/দিবাংশু পাল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলীস্থ হোটেল সাগর রেষ্টহাউজ-এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ০২ জন মহিলা’কে আটক করেন। আটককৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে এস.এম.পি এ্যাক্ট-৭৭ ধারা মোতাবেক প্রসিকিউশন দাখিলপূর্বক ২৩ শে জুন বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।