দয়াল কৃষ্ণ সানা, বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা:
ভুট্টো ও তার সহযোগী কর্তৃক পাইকগাছা উপজেলার বাইসেরাবাদ আবাসন প্রকল্পের জমি দখল করা হয়েছে।
২০২২ সালে ভেড়িবাঁধ ভেঙে সমস্ত আবাসন প্রকল্প পানিতে তলিয়ে যায়। এর ফলে আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চুলা জ্বালাতে পারেনি। কারণ চুলা জ্বালানোর মতো মাটি টুকু পর্যন্ত উঁচু ছিল না। এ সময় তাদের পাশে ছিলেন বর্তমান পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে শুকনা খাবার সহ চাল, ডাল,পানি ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আবাসনের সকল লোক মিলে মিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভেড়িবাঁধের কাজ পুনরায় স্থাপনের জন্য শুরু করেছিলেন। এই আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে এফসিডিআর এর যে জমি ছিল ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একত্রিত হয়ে মুজিব বর্ষ আশ্রয়ন প্রকল্পের সদস্যদের উন্নতির জন্য ওই জমি দান করতে বলেছিলেন। এফসিডিআর এর সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কথামত সে জমি দান করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে সেখানে লোনা পানি তোলা থেকে বিরত থাকার জন্য তাদেরকে বলেন এবং মিষ্টি পানিতে ধান ও মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সাথে সাথে আরো নির্দেশ দেন যাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা একত্রিত থাকতে পারে এর জন্য একটি সমবায় সমিতি গঠন করার। সার্বিকভাবে সমবায় সমিতি গঠন করার জন্য সহযোগিতা করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
কিন্তু টাকা ও ক্ষমতার জোরে ভুট্টো ও তার সহযোগীরা মিলে আবাসন প্রকল্পের ওই জমি তাদের বলে দাবি করে এবং জোর করে দখল করে নেয়। এতে বাধা দিতে গেলে ভুট্টো ও তার সহযোগীরা বিভিন্নভাবে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের হুমকি ধামকি এবং মারধরের ভয় দেখায়। পরবর্তীতে ভুট্টো ও তার সহযোগীরা ভেড়িবাঁধ কেটে পুনরায় ভেড়ির নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে লবণ পানি উত্তোলন করে ফলে ওই জমি আর ধান চাষের উপযোগী থাকে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি দরখাস্ত পেশ করা হয় এবং কয়রা-পাইকগাছা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কে ও বিষয়টা অবহিত করা হয়। এমপি মহোদয় বিষয়টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু আজও তার সমাধান হয়নি।
আশ্রয়ন প্রকল্পের সকল সদস্যগণ সরকারের কাছে অনুরোধ জানান যাতে করে তারা এই জমি পুনরায় ফিরে পান এবং ধান ও মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ