1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ভোলায় বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে, তবে বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ - Bikal barta
২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| রাত ৯:০৯|
সংবাদ শিরোনামঃ
এম সাইফুর রহমান কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হলেন জনাব মিফতাহ্ সিদ্দিকী বীরগঞ্জে ১০শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর অকাল মৃত্যু! জনসম্মুখে চিকিৎসককে ব্যাপক মারধর ভিয়েনা রাজ্য নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পেলেন ভোলার কৃতি সন্তান- মাহমুদুর রহমান নয়ন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ।  ভাঙ্গায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৫টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট সহ অগ্নিসংযোগ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী সহ ৩ জন গ্রেপ্তার রংপুরের কাউনিয়া ফুটবল একাডেমি, বাফুফের নিবন্ধন পেল।  ঈশ্বরদী চালের মোকামে ভরপুর জোগান, তবু দাম বেশি নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা,,  গোবিন্দগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী রাজা বিরাটের হবিষ্যি ভক্ষণ মেলা শুরু

ভোলায় বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে, তবে বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, মার্চ ৫, ২০২৪,
  • 191 জন দেখেছেন

মোঃ হোসেন, সদর প্রতিনিধি : ভোলায় ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে ফুটছে বাংলার চির চেনা রক্ত লাল শিমুল ফুল। শীত বিদায় নিচ্ছে। সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। মৃদু হাওয়ায় নাকে ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। প্রকৃতিতে এখন এমনি রুপ। প্রকৃতিতে বইছে দক্ষিণা বাতাস। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা।

গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল, ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আম, লিচু, লেবুসহ বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। এখন আর আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে আগের মতো ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছের দেখা নেই। যাও আছে খুবিই কম।

গ্রাম বাংলায় শিমুল গাছ ঔষধি গাছ নামে পরিচিত। গ্রামঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙে ফোটে, দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মনে। কিছু দিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলা তৈরি হয়।

গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো সাধারণ পরিবারকে। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে আবার নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে অতীতে।

কিন্তু বর্তমানে শিমুল তুলা গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে মানুষ। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় গাছ রোপণ করা হয় না। বর্তমানে শিমুল তুলা ৪০০/- থেকে ৫০০/- টাকা কেজি, আর গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে তৈরি তুলা ৪০/৫০ টাকা কাঁপাস তুলা ১০০/- টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভোলায় আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের। প্রতি নিয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ গাছ। যার কারণে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে ফেলতে বসেছি, অতি চিরচেনা শিমুল গাছ-কে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম মুঠোফোন বলেন, বাণিজ্যিক ভাবে এখন দেশের কোথাও এই শিমুল গাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠে। ফলে শিমুলগাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নার্সারি গুলোতে চাহিদা কম থাকায় উৎপাদন বন্ধের পথে পেড়ায়। এটি বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হলে মানুষ আসল তুলার মর্ম বুঝতে সক্ষম হতো।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!