মোঃ হোসেন, সদর প্রতিনিধি (ভোলা)
ভোলা বাপ্তা ইউনিয়ন এর উত্তর পশ্চিম চরনোয়াবাদ ৯ নং ওয়ার্ডের প্রতারক বন্ড হুজুর মিজানুর রহমান যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন। মোঃ আবুল কাশেম এর বড় প্রতারক ছেলে মিজানুর রহমান (মিজানুর রহমান) এর আগেও দুইটা বিয়ের খবর গোপন রেখে তৃতীয় বারের মত বিয়ে করেন উম্মে হাফছাকে। অদ্য ২১ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন ভুক্তভোগী উম্মে হাফছা সহ তার পরিবার সাংবাদিকদেরকে উম্মে হাফছা বলেন, ২৬/০৯/২০২২ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ হয়
বিবাহের পর ২ থেকে ৩ মাস সুখে শান্তিতে কাটে আমার সুখের সংসার প্রথমে সে ধার স্বরূপ টাকা নিতে থাকে। এভাবে নিতে নিতে সে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা ফেরত চাইলে সে যৌতুক হিসাবে আরও ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দাবি করে এবং এই টাকার জন্য আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমার সুখের কথা চিন্তা করিয়া আমার পিতা মোঃ মহিউদ্দিন ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দেয়। আমি অন্তঃসত্তা থাকা কালীন আমাকে আমার বাবার বাড়ি রেখে আসে আমার স্বামী মিজানুর রহমান। সে আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না।
অত্র বিষয় নিয়ে আমরা চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে মিমাংসা করার চেষ্টা করি। কিন্তু চেয়ারম্যানের আদেশকে অমান্য করে। চেয়ারম্যানের নির্দেশে লিগ্যাল এইডে একটি দরখাস্ত জমা দেই। সে লিগ্যাল এইডের আদেশকেও অমান্য করে চলে আসে। পরবর্তীতে সে আরো যৌতুক দাবি করে যৌতুক না দিলে আমাকে তালাকের হুমকি প্রদান করে। বাধ্য হয়ে আমরা ২৫/০১/২০২৪ইং তারিখে আমরা একটি যৌতুক মামলা দায়ের করি মামলা সি.আর নং- ৫০/২০২৪ইং ভোলা। মামলার পরবর্তী তারিখে সে হাজির হয় এবং আমাকে স্ত্রীর প্রাপ্য মর্যাদা দিবে বলে নন জুডিশিয়াল ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসে।
২১/০৩/২০২৪ইং তারিখে আমি আমার স্বামী শ্বশুর বাড়িতে রওনা দেই। ইতিমধ্যে আমাকে মোবাইলে টাকা লোড করার অজুহাত দিয়ে ফেলে চলে যায়।আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সে না আসায় শ্বশুর বাড়িতে যাই। শ্বশুর বাড়িতে গেলে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী সহ তার পরিবার যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী, শ্বাশুরী, দেবর এবং সতীন মিলে আমাকে
বেধড়ক মারধর করেন তারা সকলে আমার ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন আসে। এবং আমার বাবার বাড়িতে খবর দেয়। খবর পাইয়া আমার অভিভাবক তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে এবং ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমি ৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে থানায় হাজির হই।
আত্মীয় স্বজন পরামর্শে আমি ২৩/০৩/২০২৪ইং তারিখে কোর্টে মামলা দায়ের করি মামলা চলমান অবস্থায় সে আমাকে নোটিশ বিহীন একসাথে তিন তালাক প্রদান করে ০৯/০৪/২০২৪ইং তারিখ উল্লেখ্য করে।
অতএব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও স্যারদের কাছে আমি এর সঠিক ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রতাশা করতেছি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ