ভোলা প্রতিবেদক: ভোলার লালমোহন উপজেলা রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড চৌমূহনী বাজারে গত ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার সময় মোঃ জাফর এর নেতৃত্বে মোঃ জামাল, জুয়েল, হান্নান, আলাউদ্দিন, ফয়সালসহ ১০ থেকে ১৫ জন মিলে ওই এলাকার বিএনপি সমর্থক মোঃ শাহাবুদ্দিন কে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জামাল এর নেতৃত্বে পূর্বের সন্ত্রাসী বাহিনী দল শাহাবুদ্দিন, রায়হান ও তাদের মা বিবি রহিমাকে এলোপাাতাড়ি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেছে এবং বর্তমানে আহত ২ জন ভোলা সদর হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় এবং শাহাবুদ্দিন ও রায়হান সহ স্থানীয় লোকজন জানান গত ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় বন্ধু মহল সময় কাটানোর জন্য তাস খেলতেছে, এমন সময় পূর্বের পরিকল্পিতভাবে মোঃ জাফরের নেতৃত্বে, জামাল, জুয়েল, হান্নান, দুলাল, আলাউদ্দিন, পয়সালসহ ১০ থেকে ১৫ জন মিলে ওই এলাকার বিএনপি’র কর্মী মোঃ শাহাবুদ্দিন কে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।
পরে এলাকার লোকজন তার ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শাহাবুদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ভোলা সদর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন এরই আলোকে গত ৬ ডিসেম্বর সকাল ৬ টার সময় মোঃ জামাল এর নেতৃত্বে পূর্বের সন্ত্রাসী বাহিনী গন একত্রিত হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে মোঃ শাহাবুদ্দিন ও রায়হান এবং তাদের মাকে একসাথে পেয়ে পরিকল্পিতভাবে হাতে থাকা দ্যা লাঠি লোয়ার রড এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সহ তাদেরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে তাদের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে তাদেরকে অসচেতন অবস্থায় এম্বুলেন্সের মাধ্যমে ভোলা সদর ২৫০শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করান এই বিষয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা আরো জানান আওয়ামী লীগের আমলে এ সকল ব্যক্তিগণ হামলা মামলা জর্জরিত ছিল। এখনো যদি আমরা এই অত্যাচারের মধ্যে থাকি তাহলে বিএনপি করে কি পেলাম? তাই অনেকে এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং সচেতন মহলের কাছে সঠিক বিচারের দাবি সহ প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা আরো জানান এখনো যদি এ ধরনের বিশৃঙ্খলা হয় তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থা কি হবে? এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার শান্ত প্রিয় মহল। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাফর ও জামালের সঙ্গে ঘটনার বিষয় জানতে একাধিক বার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। সম্প্রতি ঘটনার বিষয় লালমোহন থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলমাণ। রামগঞ্জ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মোঃ জাফর আহমেদ এর সাথে এ বিষয়ে আলাপ কারলে তিনি জানান বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক উভয়পক্ষ আমার কাছে আসলে আমি সঠিক বিচারের আওতায় আনবো বলে তিনি।