আমিনুল ইসলাম রনি:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আবারো সক্রিয় হয়েছে উঠেছে মানবপাচার চক্র।
এদের শিকার শুধু পুরুষই নয়,রেহাই পাচ্ছেন না রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরাও। বিভিন্ন সময় অভিযানে চক্রের কিছু সদস্য আটক হলেও বহাল তবিয়তে বেঁচে যায় সাবরাং দক্ষিণ কচুবনিয়া এলাকার রশিদ আহমদের দুই পুত্র শীর্ষ মানবপাচারকারী মোঃ ফারুক ও ফায়সেল।
তাতে উখিয়া–টেকনাফে অপহরণ ও মানবপাচারের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে টেকনাফ উপকূল দিয়ে সাগর পথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার হতো বেশ দেদারসে।পাচারের শিকার লোকজন থাইল্যান্ড সীমান্তে বা মালয়েশিয়া,এবং মায়ানমার শামিলা পৌঁছালে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে ছেড়ে দিতেন পাচারকারীরা। গেল রমজানের সময় সাবরাং ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড পুরান পাড়া এলাকার বৃদ্ধ জালাল আহমদের পুত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোঃ শোয়েব কে মালয়েশিয়া প্রবাসের প্রলোভন দেখিয়ে মায়ানমারের শামিলায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধি রেখে বেধড়ক মারধর করে আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের কাছে ভিডিও চিত্রসহ তথ্য হাতে এসেছে।
পরবর্তীতে পাচারের শিকার লোকজন অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেখানে বিভিন্ন কাজে জড়াতেন। ওই সময়ে থাইল্যান্ডে একটি পাহাড়ে মালয়েশিয়াগামী লোকজনের মৃতদেহ উদ্ধার ও একটি চক্র ধরা পড়ায় এবং সাগর পথে মানবপাচারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় প্রশাসনের শক্ত অবস্থানে মানবপাচার বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি ও নতুন ভাবে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ পরবর্তীতে ২০২০ সালের দিকে এই রুটে ফের মানবপাচার সক্রিয় হয়ে উঠে। তবে পুরনো এবং নতুন শীর্ষ মানবপাচারকারী মোঃ ফারুক ও মোঃ ফায়সেলসহ নতুন পাচারকারীদের সমন্বয়ে গঠিত মানবপাচারের চক্রটি এখন আগের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমার ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশেও সক্রিয় রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাবরাং কচুবনিয়া এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র শীর্ষ মানবপাচারকারী মোঃ ফারুক ও ফায়সেল।
গেল কয়েকদিন পূর্বে উদ্ধার ১৫০ জন উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয়দের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়ায় পাচার করে আসছে এই আপন দুইভাই ফারুক ও ফায়সেল।
তারা আরও জানান,প্রতিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই চক্রের সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সাবরাংয়ের এক মানবাধিকার সংস্থার কর্মী বলেন,
কচুবনিয়া এলাকার শীর্ষ মানবপাচারকারী ফারুক ও ফায়সেল তারা দুই ভাই তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু,
তাদের ব্যাপারে আমি একাধিকবার টেকনাফ মডেল থানার দায়িত্বশীলদের কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শীর্ষ মানবপাচারকারী ফারুক ও ফায়সেলের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে,ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।