স্টাফ রিপোর্টার বাবুল চৌধুরী জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা।
ঢাকা: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আর ও ১১ সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। এই নিয়ে আশ্রিত বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৬ জনের।
তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ হচ্ছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে এসেছে।
এর মধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যকে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
” মিয়ানমারের মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশে নিহত ২
” মিয়ানমার সীমান্তে জড়ো রয়েছে ৪০০ চাকমা, অনুপ্রবেশের আশঙ্কা
গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মিসহ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় জান্তার অনুগত সেনাদের পরাজয়ের খবর আসছে। এমনকি অনেক জায়গায় সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও নিয়ন্ত্রিত এলাকাও দখলে নিতে শুরু করে বিদ্রোহীরা।
এই নিয়ে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে গত( ৪ ফেব্রুয়ারি )সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বিজিপির ১৪ জন সদস্য। এরপর দফায় দফায় ওই সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে থাকেন বিজিপির সদস্যরা।
সোমবার সকাল পর্যন্তও আশ্রিত বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ছিল ৯৫ জন। এরপর নতুন করে আরও ১১ জন আশ্রয় নিল মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৬।
এদিকে গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির থানা এলাকা আওতাধীন ঘুমধুম জলপাইতলী সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশি এক নারী ও এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে সেখানে চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ জন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু লোক জড়ো হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আর আর আরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এই অবস্থায় ওই চাকমা,রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অবশ্য সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ওই দিন জাতীয় সংসদে বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সীমান্তে সশস্ত্র বাহিনীকে ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।