এ এ রানা::
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির শ্রেষ্ঠ গৌরবের ইতিহাস। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসেই বাঙালির লালিত স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়।
সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৭ এপ্রিল বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) সৈয়দ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মু. মাসুদ রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহফুজা আক্তার শিমুল, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল ও ভবতোষ রায় বর্মণ।
বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী বলেন, বাংলা, বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নাম। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, বাঙালির সে স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে। তিনি আরো বলেন, একাত্তরের এ দিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বে সরকার পরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরবর্তীতে ত্রিশ লক্ষ শহিদ, দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার। বিজ্ঞপ্তি