মোঃ আলামিন সরকার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দৈনিক বিকাল বার্তা:
আজ মঙ্গলবার (২৭শে ফেব্রুয়ারি) বেলকুচি উপজেলার বেলগাছি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী ও স্বজনদের ধারণা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওরস্যালাইন মেশানো শরবত খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানদার ও সেলসম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত জিম খাতুন উপজেলার বেলগাছি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের মেয়ে। অসুস্থরা হলেন, মা পারভীন খাতুন, মেয়ে রিয়া ও নুরী, ভাতিজি মিথিলা।নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শবে বরাতের পরদিন সোমবার রোজা রেখেছিলেন পারভীন খাতুন। সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ওরস্যালাইন ও ইস্পি পাউডার দিয়ে বানানো ‘শরবত’ পান করেন তিনি। এসময় তার তিন সন্তান জিম, রিয়া, নুরী ও ভাতিজি মিথিলাও শরবত পান করে। শরবত খাওয়ার পর পরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের বেলকুচির স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে চিকিৎসক সিরাজগঞ্জে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পরে জিম মারা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন জানান, তাদেরকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদেরকে সিরাজগঞ্জে প্রেরণ করেন। এখানে আসার পর জিম খাতুন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য অসুস্থ অপর তিনজনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জিমের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা, দুই মেয়ে ও তাদের এক মামাতো বোনসহ মোট চারজন বিষক্রিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে মা পারভীন ও মেয়ে রিয়া এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায়। তবে বাকি দুজন এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। ওরস্যালাইন পানে বিষক্রিয়া নাকি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এমন হয়েছে সেটা বলা কঠিন। বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওরস্যালাইনের দোকানদার আমিনুল ইসলাম, সেলস ম্যান আনিছুর রহমানসহ এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাফিজ শেখ ও সাগর হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় এনেছি। ভুক্তভোগীর পরিবারের ধারণা মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পান করে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ