আবু বকার সিদ্দীক হিরা। (খুলনা ব্যুরো প্রধান ) বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ব্রাইট মৎস্য খামারে দূর দূরান্ত থেকে মুরগির পঁচা নাড়িভুঁড়ি/উচ্ছিষ্ট পরিবহণ করায় অসহনীয় ও ক্ষতিকর দুর্গন্ধে সর্বসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত দূর দূরান্ত থেকে মুরগির পঁচা নাড়িভুঁড়ি/উচ্ছিষ্ট উপজেলার চর আস্থাইল গ্রামে ব্রাইট মৎস্য খামারে নিজস্ব পরিবহণ/ট্রাকে আনার কারণে সর্বসাধারণকে এ অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মিত ক্ষতিকারক এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আজও (রবিবার) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পরিবহণের মাধ্যমে অসহনীয় এ দুর্গন্ধ ছড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ধরনের কোনো কিছু খামারে পরিবেশন মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ এবং মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একাধিক দোকানদার, শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চাকুরিজীবী ও ভ্যান চালক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জানান, উপজেলার চর আস্থাইলে ব্রাইট মৎস্য খামারে দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত মুরগির পঁচা নাড়িভুঁড়ি/উচ্ছিষ্ট ট্রাকে করে আনা হয়। দূর দূরান্ত থেকে অসহনীয় দুর্গন্ধময় এসকল পঁচা নাড়িভুঁড়ি উচ্ছিষ্ট যখন আনা হয় তখন সড়কের পাশের দোকানদার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, বাড়িঘরের মানুষ সহ পথচারী/সর্বসাধারণের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। অসহনীয়/দুর্গন্ধে নাকমুখ চেপে রেখেও রেহাই মেলে না, পেট ব্যাথা হয়ে যায়। অনেকে দোকান/প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর ছেড়ে দৌড়ে দূরে চলে যায়, ওই ট্রাক দেখলেই সকলের চেহারায় এক ধরনের আতঙ্ক প্রকাশ পায়। এর থেকে পরিত্রাণ চায় সকলে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শোভন সরকার বলেন, এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আগামীকাল (আজ সোমবার) এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম জানান, মৎস্য আইন/নীতিমালা অনুযায়ী এধরনের কোন কিছু মৎস্য খামারে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি খামারে গোবরও দেয়া যাবে না। এগুলো মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এবিষয়ে মোবাইল বক্তব্যে উক্ত খামার মালিক মাসুদ হাসান লিটন জানান, দিনের বেলায় পরিবহনের বিষয়টি তিনি জানতেন না, গভীর রাতে আনলে মানুষ কষ্ট পেতো না, মানুষকে কষ্ট দেয়া তিনি পছন্দ করেন না, তার অজান্তে প্রতিষ্ঠানের যে বা যারা দিনের বেলায় এগুলো আনছে তার/তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ