1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
মৌলভীবাজার রফিনগরে ২৭টি আস্রয় কেন্দ্রের মানুষ আস্রয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের আবেদন।  - Bikal barta
১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| মঙ্গলবার| সন্ধ্যা ৭:২০|
সংবাদ শিরোনামঃ
ষড়যন্ত্রমূলক অবৈধভাবে দোকানঘর উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ভোলায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ১ জনকে আটক করলো- কোস্টগার্ড সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের পক্ষে ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত নড়াইলে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ -০১ জন আটক ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামী। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার ২ নং কাশীরাম বাসীর ৩২ টি ঘর পুড়িয়ে ছাই। রাজনীতি করতে হবে দেশ এবং মানুষের কল্যানে নিজের স্বার্থের জন্য নয় -সাগর  ৫ গ্রামবাসীর নদী পারা-পার বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে। বগুড়ার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অভিযানে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল,পিকআপ সহ আটক ২ ঠাকুরগাঁয়ে বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেফতার -১

মৌলভীবাজার রফিনগরে ২৭টি আস্রয় কেন্দ্রের মানুষ আস্রয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের আবেদন। 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, জুন ২২, ২০২৪,
  • 63 জন দেখেছেন

 

জুবায়ের আহমেদ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:-

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার রফিনগরে অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রফিনগরে রাস্তাঘাট, টানা দুই দিন বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ঘরবাড়ি, নদীর পাড়ে বসবাস করে যতটুকু আতঙ্কে থাকার কথা তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন একটু বৃষ্টি হলেই।

 

বলছিলাম মৌলভীবাজারের সদরে ২নং মনুমুখ ইউনিয়নের রফিনগর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার পাওয়া বাসিন্দাদের কথা।

 

অনাহারে দিনযাপন করছেন তারা। খাবার নেই, নেই বিশুদ্ধ পানি। পানি থাকার কারণে ঘরের সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে তারা দিনযাপন করলেও খবর নিচ্ছে না কেউ।

 

দৈনিক সকালবেলা প্রতিবেদক কে এভাবেই দুঃখের কথা জানাচ্ছিলেন এখানকার বাসিন্দারা।

 

রাসেল আহমদ, নামে এক বাসিন্দা প্রতিবেদক কে বলেন, আমরা খুব কষ্টে আছি। বিশুদ্ধ পানি নাই। খাবার নাই, থাকার জায়গা নাই। ঘরবাড়ি ভাঙা। আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখি থাকার জায়গা নেই। আরেকজনের ভাঙ্গা- ঘরে থাকি কোনো রকম জীবন রক্ষা করতেছি। কী করব আমরা কিছু বুঝতেছি না।

 

মুক্তার মিয়া , নামের আরেকজন বলেন, আমার ঘরের কম্বল ও থালা-বাসন কিছুই নাই।

সবকিছুই পানিতে ভেসে গেছে। এখন কোথায় রান্না করব, আর কী খাব,এখন পর্যন্ত সরকারের বা অন্য কারো পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য পাইনি।

 

মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় কমতে শুরু করছে বন্যার পানি।

বাড়িঘর ডুবে চরম বিপদগ্রস্ত হয়েছেন মানুষজন।

এই বিপদে গবাদিপশু নিয়ে কী করবেন সেই তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।

 

মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ ইউনিয়নের ৪৫০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর, নতুন বস্তি,হামরকুনা,বাহদুর পুর, ব্রাহ্মণ গ্রাম , চানপুর,আলাপুর,কাটারাই তাদের যাতায়াতের যে যে সরক গুলো রয়েছে সেটিও বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়, ফলে ভোগান্তিতে পড়েন অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

 

তিন দিন পানিবন্দি থাকার পর এখনো অনেকেই নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে পারেননি ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্রের মায়ায়। অনেকে ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয়ের ঠাঁই নিয়েছেন।

 

এছাড়া জেলার দুইশত পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

 

ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘর বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, মৎস্য খামার, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও হাটবাজার। গরু, মহিষ, হাঁস, মুরগি, ছাগল-গরু, ভেড়া মরে ভেসে গেছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকলে অপ্রতুল। গো-খাদ্য নেই। গো-খাদ্য, মাছ ও মাছের পোনা সব ভেসে গেছে। ভেঙেছে সেনিটেশন ব্যবস্থা।

 

গত বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড.উর্মি বিনতে সালাম, এ সময় বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, লবণ, মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান , মৌলভীবাজারে গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি কম হয়েছে। এ ছাড়া উজানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলার নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে বালু ভর্তি বস্তা ও মাটি দিয়ে ঝুঁকিমুক্ত রাখার কাজ চলমান রয়েছে।

 

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে রয়েছে। পানিবন্দি এলাকার মানুষের সাহায্যে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যাদের বাড়িতে বেশি পানি কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। শুকনো খাবার ও চাল দেওয়া হচ্ছে তাদের। এ ছাড়াও পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

 

আরও জানা যায়, বর্তমানে বিপৎসীমার ওপরে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!