আবু বকার সিদ্দীক হিরা। (খুলনা ব্যুরো প্রধান )
যশোরে কানের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে ধরা খেয়েছেন জাহিদ হাসান নামে এক যুবক। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে পরীক্ষার হল থেকে বহিস্কার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আজ যশোর সরকারি এমএম কলেজে অনুষ্ঠিত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এরপর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কানের ভেতর থেকে সেই ডিভাইসটি বের করা হয়।
যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার জানান, তাদের কলেজে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ৫টি কেন্দ্র ছিলো। নতুন বিজ্ঞান ভবনের ১০৫ নম্বর কক্ষে জাহিদ হাসান পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসর মদন কুমার সাহা।
ওই পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে একটি ডিভাইস ছিলো। আরেকটি ছিলো পকেটে। কথা ছিলো ওই ডিভাইসের মাধ্যমে একজন বাইরে থেকে প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেবেন জাহিদকে। কিন্তু জাহিদ উত্তর না পেয়ে পরীক্ষার হলে বসেই ছিলেন। দীর্ঘ সময় হলেও তিনি উত্তর পত্রে কিছুই লিখছিলেন না। এ অবস্থায় সন্দেহ হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। এরই মধ্যে একটি শব্দ হওয়ায় শিক্ষক ধরে ফেলেন জাহিদকে। এসময় তিনি ডিভাইসটি কানের ভেতরে ঠেলে ঢুকিয়ে দেন। পরে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বহিস্কার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্র সচিব মামলা করবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন খান বলেন, তাৎক্ষনিক ওই পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ