(রামপাল )বাগেরহাট সংবাদদাতা।
রামপালের বিশ্বশুক সেবাশ্রমের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলবাজরা ইতিমধ্যে ৬/৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে। দফায় দফায় বৈঠক করেও জমি দখল মুক্ত করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট সেবাশ্রম কর্তৃপক্ষ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের বিশ্বশুক সেবাশ্রমের মোংলার বিদ্যারবাহন মৌজার জেএল-২, সিট নং-৩, হাল দাগ নং-৯০৬ ও ডিপি নং ৮২ নং খতিয়ানে প্রায় ২ একর জমি রয়েছে। ওই জমিতে একটি আশ্রম, একটি কালি মন্দির, একটি বাগান ও একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। ওই জমি ও মৎস্য ঘেরটি কতিপয় দখলবাজদের সাথে নিয়ে স্থানীয় মৃত অনিল গোলদারের ছেলে অরূপ গোলদার, ভাগা এলাকার বেলাল হোসেন ও খুলনার জনৈক ফজলুর রহমান দখল করে মৎস্য চাষ ও মূল্যবান গাছপালা কেটে আত্মসাৎ করে আসছেন। দফায় দফায় আবেদন-নিবেদন ও বৈঠক করেও কোন ভাবেই প্রতিকার মিলছে না। আশ্রমের সেবায়েতরা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছেন তারা। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধারে কোন প্রতিকার না পেয়ে তারা হতাশা ব্যাক্ত করেছেন। উল্টো অরূপ গোলদার ও তার দোসররা মৎস্য চাষের পাশাপাশি মূল্যবান বড় বড় মেহগনি, শিরিশ ও ফলের গাছ কেটে বিক্রি করেছে। নতুন করে আরও বেশকিছু গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছে। সরেজমিনে গিয়ে অরূপ গোলদারকে গাছ কাটতে দেখা যায়।
বিশ্বশুক সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রামপ্রসাদ রায় অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে অরূপ গোলদার, ভাগার বেলাল ও খুলনার রূপসার ফজলুর রহমান কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের চেষ্টা করছে। জমিটি খুলনা মোংলা মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় প্রায় তিন কোটি টাকার মূল্য রয়েছে। ওই জমিতে আশ্রম ঘর, বাগান, কালি মন্দির ও একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। এখানে ভবিষ্যতে একটি দাতব্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় একটি প্রভাবশালী লোভী মানুষেরা জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে দেবত্ব সম্পত্তি দ্রুত দখলমুক্তের দাবী জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অরূপ গোলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জায়গা ঘিরেছি, জায়গায় ভোগদখল করে মাছ চাষ করছি। এর মধ্যে আমারও জায়গা আছে। আশ্রমের জায়গা হলে আমি ছেড়ে দিবো। অপর অভিযুক্ত ভাগার বেলাল ও খুলনার ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা অরূপ গোলদারের কাছ থেকে জমির হারি দিয়ে মাছ চাষ করি। আশ্রমের জায়গা হলে আমরা ওখানে ঘের করবো না। তারা কোন ঝামেলার মধ্যে যাবো না বলে জানান।
আশ্রমের সেবায়েতসহ ভক্তবৃন্দ দ্রুত জায়গার দখলমুক্ত করে সেবায়েত ও পূর্ণার্থীরা যাতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করতে পারেন তাহার ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী করেন।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ