নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দু'জন নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা বন মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিরুদ্ধে।
গত ২৬ নভেম্বর কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের পানেরছড়া বন বিটের বিট কর্মকর্তা (ফরেস্ট গার্ড)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদী মামলার বিবরণে উল্লেখ করেছেন,পানেরছড়া বিটের রক্ষিত বনভূমির যার আর,এস দা নং-২৩৪৫ এবং বি,এস দাগ নং-৬৯৭১ এর মরিচ্যা ঘোনায় উল্লেখিত আসামিরা দক্ষিণ মিঠাছড়ির ৯ নং ওয়ার্ডের কবির আহমেদ পুত্র মাহাত আলম ও একই এলাকার রশিদ এর ছেলে মফিজ (ননা) সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন মিলে কোদাল ও বেলচা দিয়ে পাহাড় কেটে ডাম্পার গাড়িতে মাটি ভরিতেছে।এমন সময় বন বিভাগ অভিযান করে কোদাল, বাঁশের টুকরী ও বেলচা জব্দ করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন।
অনুসন্ধান ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর মাহাত আলম তার মালিকানাধীন ডাম্পার গাড়ি নিয়ে কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কে উঠলেই পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত বিটের স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে ধাওয়া দিয়ে ডাম্পার গাড়িটি পানেরছড়া বাজারের দক্ষিণে ও কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কের লাগোয়া পূর্বপাশে গাড়িটি আটকে দেয়।প্রমাণস্বরূপ যার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।পরে স্হানীয় এক জনপ্রতিনিধির মধ্যস্ততায় আর্থিক লেনদেনের চুক্তিতে গাড়িটি ছেড়ে দেয় বন বিভাগ।
বন বিভাগের এই আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত ক্ষিপ্ত হয়ে পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে বাদী করে ডাম্পার মালিক মাহাত আলম ও নিরপরাধ মফিজ (ননা)সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে।এবং একই সাথে মামলার বাদী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম'কে দিয়ে রামু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করান।
এদিকে মামলায় উল্লেখিত বিবরণ ও সাধারণ ডায়েরির বিবরণের সাথে কোন প্রকার মিল খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাদী মামলার বিবরণে বলেছেন যে, পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে পানেরছড়া বিটের মরিচ্যা ঘোনায় অভিযানে গিয়ে পাহাড় কাটার স্হান থেকে পাহাড় কাটার যাবতীয় সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে,এবং জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পানেরছড়া বিটের পানেরছড়া বাজারের পাশে মরিচ্যা ঘোনা রাস্তার মুখে ডাম্পার গাড়ি আটকালে উল্লেখিত আসামিরা বন বিভাগের স্টাফদের ধাক্কা দিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্হানীয় গণ্যমান্য একাধিক লোকজন বলেন,পানেরছড়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তারা বনভূমি রক্ষার চেয়ে বন অপরাধীদের সাথে মিলে বনের ক্ষতিসাধন করে আসছে।তারা রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন।
বন কর্মকর্তারা তাদের অপরাধ ঢাকতে নিরপরাধ লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।এবং এই মামলাতেও নিরপরাধ লোকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বন বিভাগ।
এবিষয়ে মাহাত আলম ও মফিজ (ননা)বলেন,পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত এর অপকর্মের বিষয়ে সাংবাদিকরা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে
সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে।আসল ঘটনা উদঘাটন করতে সরজমিনে এসে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ