নেত্রকোনা থেকে দ্বীপক চন্দ্র সরকার: নেত্রকোণা সদর উপজেলার ১০ নং রৌহা ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচন আগামী ৯ মার্চ ২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে উপ—মহাদেশের প্রখ্যাত বংশীবাদক, তথা বাঁশীর জাদুকর ও গীতিকার, সুরকার, সং্গীত শিল্পী মরহুম বারী সিদ্দিকীর সহধর্মীনি ও ভাষা সৈনিক, নেত্রকোণা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর ১০নং রৌহা ইউনিয়নের তিন তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান জননেতা মরহুম নুরুল হুদা সাহেবের সু—কন্যা এবং নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক বিপ্লবী সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সন্মানীত সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক এর বোন, আওয়ামী পরিবারের সন্তান, নেত্রকোণা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সম্মানীত সদস্য সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব মিউজিশিয়ান (তানপুরা বাদক) ফরিদা ইয়াসমিন পরভীন।
১০নং রৌহা ইউনিয়নের সকলের সু—পরিচিত মাটি ও সাধারণ মানুষের প্রিয় মুখ সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন দলমত নির্বিশেষে জনপ্রিয় প্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন। পারভীনের রৌহা ইউনিয়নের কারলী (প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী) তার নিজ গ্রামের বাড়িতে নির্বাচন পর্যাবেক্ষন করতে গিয়ে সাংবাদিক শাহ্জাদা আকন্দ ও সাংবাদিক দ্বীপক চন্দ্র সরকার এর সাথে একান্ত ভিডিও সাক্ষাতকারে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে পরভীন বলেন— আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার পিতা মরহুম নুরুল হুদার হাত ধরেই আমার রাজনীতীতে আশা। তিনি শিখিয়েছেন কিভাবে জনগণকে ভালো বাসতে হয় এবং তাদের পাশে থেকে জনগনের সেবা করতে হয়। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০১৬ সালে আমাকে ভালোবেসে নৌকা প্রতীক দিয়ে ১০নং রৌহা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই মর্মে আমি জনগণের পাশে থেকে কাজ করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করেছিলাম এবং আমাকে জনগনও সাদরে গ্রহণ করে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২৫৫ ভোট বেশি দিয়ে আমাকে বিজয় করেছিল। কিন্তু‘ দুঃখের বিষয় কিছু প্রভাবশালী কুচক্রী মহল এর যোগসাজসে আমাকে পরাজিত দেখিয়ে অন্য প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। যাহা আপনারা গণ মাধ্যম কর্মীসহ এলাকা ও ইউনিয়ন তথা নেত্রকোণা উপজেলাবাসীর সচেতন মহলের জানা আছে। আমি নীরিহ মহিলা প্রার্থী হিসেবে কিছু করার ছিলনা। মুখ বুঝে সব সহ্য করে নেই। হঠাৎ ১০নং রৌহা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ এর মৃত্যুতে ইউনিয়নবাসী অভিভাবকহীন হয়ে পরে এবং আমাকে এলাকাবাসী উপ—নির্বাচনে প্রার্থী হতে বলেন। ইউনিয়নবাসীর কথায় ও আমার মরহুম পিতার আদর্শকে ধরে রেখে আমার পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার প্রত্যয়ে ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট ১০নং রৌহা ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আমি এবারও জনগণের আশ্বাসে ২০২৪ সালের উপ—নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি সুষ্ঠ্য নির্বাচন হলে আমার বিজয় নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ্। উপ—নির্বাচনে আপনি বিজয়ী হলে অল্প সময়ে ইউনিয়নের উন্নয়ন কি করবেন? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন জনগণের ভাতের অভাব নেই, তারা চায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বেকার সমস্যা দুরীকরন এবং সংস্কৃতির প্রসার। আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করে ১০নং রৌহা ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করব। আর্তমানবতার সেবায় আমৃত্যু জনগণের পাশে থাকতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ নিয়ে বাকিটা পথ চলতে চাই”... এবং সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি মরহুম পিতার কথা স্মরণ করে বলেন আমার পিতার সময় এমন ও ঘটনা ঘটেছে যে রাস্তার কাজের জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত গম এসেছিল। কিন্তুু‘ তখন মাঠ ভরা ধান থাকায় জনসাধারণ রাস্তার কাজ করতে দেয় নাই। তাই তিনি সরকারের বরাদ্দ দেওয়া গম পুনরায় সরকারের খাতায় জমা দিয়ে দেন। তখন শ্রমিকরা ক্ষুব্দ হয়ে আমার পিতাকে মারতে হুমকী দেয় তিনি তখন হেসে দিয়ে তিনি বলেন মেরে ফেল আমাকে আমাকে মেরে ফেললে তোদের লাভ কি? এমনও রেকর্ড আছে যখন সরকারের কোন কাজ না থাকে তখন তিনি তাঁর নিজ উদ্যোগে ইউনিয়নের করেছে এবং নিজ তহবিল হইতে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতেন। আমি এমনি মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান লোভ লালসা কি জিনিস আমার জানা নেই। আমার এক ছেলে এক মেয়ে তারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য অবস্থান করছেন। আমার স্বামী মরহুম প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী সাহেবও মৃত্যুকালে আমার ও আমার সন্তানদের ভোরনপপোষনের যথেষ্ঠ ব্যবস্থা করে গেছেন। আমার পৈত্রিক অবস্থা আপনাদের সকলের জানা। এখন আমার জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তাই আমি বাকিটা জীবন জনগণের পাশে থেকে সকলের সেবা করে যেতে চাই। সর্বশেষ সরকার যে কাজটি করে তা সকল মানুষের জন্য আমরা জন প্রতিনিধি হিসেবে সকলের জন্য কাজ করা উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত আন্তরিক জনগণের পক্ষে কাজ করতে চান। আমাদের উচিত জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিনির্মান করা। কথা দিচ্ছি আমি নির্বাচনে জয়ী হলে ইউনিয়নবাসী সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে সরকারের উন্নয়নের কাজের মাধ্যমে ১০ নং রৌহা ইউনিয়নকে স্মার্ট ইউনিয়ন হিসেবে ইউনিয়নবাসীকে উপহার দিব ইনশাআল্লাহ্। পরে সাংবাদিকগণ এলাকায় ঘুরে নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানতে পারে ১০নং রৌহা ইউনি চেয়ারম্যান হিসেবে ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন এঁর কোন বিকল্প নেই এবং মহিলা ভোটাররা পারভীনকে পেয়ে অনেক বেশি উৎসাহীত। আপনারা সাংবাদিক জাতির বিবেক, আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে আমাদের চেয়ারম্যানের ভালো দিকগুলো তুলে ধরে আগামী নির্বচানে যেন চেয়ারম্যান হিসেবে পারভীনকে পেতে পারি সেই ব্যবস্থাই করবেন এলাকাবাসী আশা করে।