মোঃ ফয়সাল উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার:
লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজির হাট বাজারে গত সোমবার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়। রমজানের পূর্ব মুহূর্তে পণ্যদ্রব্যের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গরু ও খাশির মাংস প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানুষ তাদের দৈনন্দিন গড়ে যে আয় হয় সে আয় থেকে তাদের ঐ দিনের বাজার করার সামর্থ্য দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। অত্র উপজেলায় খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ তাই সবজিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক বেশিই মনে হচ্ছে।
সব ধরনের ক্রেতা ও ভোক্তামনে অসন্তোষ,চাপাকষ্ট,ক্ষোভ ও খাদ্য অনিশ্চয়তা বৃদ্দি পাচ্ছে দিন দিন। মাছ বাজার সহ মাংসের বাজারে দামের আংশিক চিত্র>>> বয়লা মুরগী ২৩০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩৮০ টাকা করে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গরুর মাংস ৯০০ টাকা, হাড় ছাড়া ১০০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা করে। ইফতার ও সাহরিতে সবার পছন্দের কলার হালি ২০-২৫ পরিবর্তে এখন ৫০-৬০ টাকা।
কিন্তু কাঁচা বাজার সহ মাংসের বাজারেও নেই ভোক্তা অধিকার সহ প্রশাসনের নজরদারি । তবে যদি বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত মনিটরিং থাকে তাহলে বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা।
এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কমলনগরে প্রত্যেকটা বাজারে আমাদের মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে এমনকি মনিটরিং সহ গোপন ভাবে ও নজরদারি চলমান থাকবে।