মোঃশাহেদুল ইসলাম
স্টাব রিপোর্টার:

ছোটখাটো অপরাধ থেকে শীর্ষ পর্যায়ে চলে গেছে কক্সবাজারের লাইট হাউজের অনেক অপরাধী। এখন এসব অপরাধে জড়িত অসংখ্য নারী। ইয়াবা ব্যবসায় একান্ত সহযোগী হিসেবে নারী সংশ্লিষ্টতা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অপরাধ জগতে গড়ে তুলেছেন সাম্রাজ্য। এ যেন আলাদীনের চেরাগ।

গত ২৬ তারিখ রাত ১১ টায় গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার শহরের ১২নং ওয়ার্ড় লাইট হাউজ এলাকা বাসিন্দা ইয়াবা রাণী আজিজার নিজ বাসা থেকে তাদেরকে ৪৬৭ পিছ ইয়াবাসহ ৩ জনকে আটক করে। আটককৃত হলেন কক্সবাজার লাইট হাউজ এলাকার মৃত আবু জাফরের মেয়ে ১/ আজিজা বেগম , তার একান্ত সহযোগী একই এলাকার পিতা আরিফ হোসেনের পুত্র২/ দিল মোহাম্মদ ৩/ চট্টগ্রামের চন্দ নাইশ থানার হাসিমপুর ১নং ওয়ার্ড়ের মৃত সৈয়দ হাসানের পুত্র রফিকুল ইসলাম।

এলাকা সুত্রে জানা যায়, আজিজা ও তার একান্ত সহযোগী দিল মোহাম্মদ ও শফিকুর রহমান তারা দেশের একমাত্র জঘন্য ইয়াবা ব্যবসার মতো অপরাধে জড়িত রয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সে উখিয়া সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ থেকে বড় বড় ইয়াবার চালান সারা বাংলাদেশে পাঠায় বিভিন্ন সুকৌশলে। এই পর্যন্ত তার ইয়াবা নিয়ে জেল খেটে যাচ্ছে অনেকে।

বছর খানিক আগেও আজিজার একান্ত সহযোগী ইয়াবা নিয়ে আটক হয়েছিল জামিনে বের হয়ে সে আবারো সক্রিয় ইয়াবা ব্যবসায়, পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে আজিজার ইয়াবা ব্যবসা,

এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মোঃ তায়রীফুল ইসলাম জানান, আজিজা এবং তার সহযোগীরা গোপনে ইয়াবা ব্যবসা সাথে জড়িত, গত ২৬ তারিখ রাত ১১ টার সময় আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার লাইট হাউজ মসজিদের দক্ষিণ পাশে আজিজার নিজ বাসা থেকে আজিজা এবং তার একান্ত সহযোগী মোহাম্মদ ও রফিকুল ইসলামকে ৪৫৭ পিচ ইয়াবা সহ তাদেরকে আটক করি।

পাশাপাশি এই এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সর্বক্ষণিক মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।

গোপন সুত্রে জানা যায়, আজিজার স্বামী, আনিসুজ্জামান শিপন গোপনে ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত, পাশাপাশি এই ইয়াবা ব্যবসা স্বামী, আনিসুজ্জামান শিপনের একান্ত যোগান দাতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

তার এলাকায় তার ঘরে প্রতিদিন দেখা মিলে নিত্য নতুন মানুষের, প্রতিনিয়ত ভীড় জমায় তার ঘরে অপরিচিত লোকজন, বিভিন্ন জায়গা থেকে হরেকরকম মানুষ ভীড় কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনেও রয়েছে তার একাধিক ইয়াবার সিন্ডিকেট, ইয়াবার দাপটে তার রাজত্ব চলে পুরো এলাকায়,

পাশাপাশি সচেতন মহল ও স্হানীয়দের দাবি এসব ইয়াবা ব্যবসীদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রদক্কেপ গ্রহণ করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান এবং মাদক মুক্ত সমাজ, ও মাদক মুক্ত দেশ গড়তে প্রত্যেক প্রশাসনের ভুমিকা অপরিসীম বলে মনে করেন তারা।