মোঃ তারেক রহমান শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতিমধ্যেই শাহজাদপুর পৌর এলাকাসহ ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ-দুর্গতি পোহাচ্ছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। ফলে দেশের দুগ্ধশিল্পের কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদপুরে লাখ লাখ গবাদিপশু প্রতিপালনে কাঁচা ঘাসসহ গো-খাদ্যের তীব্র সংকট সৃষ্টি হওয়ায় খামারিরা পড়েছেন মহাবিপাকে! ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।
এলাকাবাসী জানায়, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর গো-খাদ্যের সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে। এসব এলাকায় নৌকাই একমাত্র যোগাযোগের বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তারা আরও জানান, যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এ অঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে আশপাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি ও উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই বাড়ির মধ্যে হাঁটু পানিতেই বসবাস করছেন। বিশেষ করে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা ছাড়াও গবাদি পশুপাখি রাখার স্থান ও গো-খাদ্য, স্যানিটেশনসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে ।
গো-খামারিরা জানান, গো-খাদ্যের সহায়তা পাওয়া যায়নি। উচ্চ মূল্যে খড় কিনে একবেলা, কোনো দিন দুবেলা খাবার দিচ্ছেন। চারদিক পানিতে নিমজ্জিত থাকায় কাঁচা ঘাস জোগাড় করাও সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনায় পানি কমা অব্যাহত থাকবে। এ মুহূর্তে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল।