মোঃ মাকসুদুর রহমান রোমান শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।ওই কিশোরীরা সকলেই উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলিবাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাদের উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শ্রী রামপ্রসাদ চক্রবর্তী ও অভিভাবকরা জানান, রবিবার সকাল ১১টার দিকে হাসলিবাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ ম থেকে অষ্টম শ্রেণীর প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়। স্কুল ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে হঠাৎই তাদের কারো কারো শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ১১ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন অভিভাবকরা। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১ টাকা মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হতে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১৮ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে।ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিব সাহা আজ সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় এই প্রতিবেদককে জানান, একটি সরকারি স্কুলে এইচপিভি টিকা দেওয়ার পর অসুস্থ হওয়ায় গত রাত পর্যন্ত ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অত্র হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে, ১২ জনকে চিকিৎসা শেষে রিলিজ দেয়া হয়েছে, ৩ জন নিজ ইচ্ছায় বাড়িতে চলে গেছেন এবং এখনও ৩ জন ভর্তি রয়েছে।এ বিষয়ে শেরপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. হুমায়ুন আহমেদ নূর আজ সকাল ১০ টায় এই প্রতিবেদককে জানান, আমাদের কাছে গত রাতে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে জ্বর সহ শরীর ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তিনি আরও জানান, এইচপিভি টিকা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। মূলত এ সকল শিক্ষার্থীরা ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। তারা সকলেই ভালো আছেন। আজ সকালে রাউন্ড দেওয়ার পর হয়ত অনেককেই রিলিজ দেয়া যাবে।