মোঃ মাকসুদুর রহমান রোমান শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির দল রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে ৬টি বসত ঘর। সেই সাথে খেয়ে গেছে ঘরে রাখা ধানচাল। ভেঙে চুরমার করে দেয় ঘরের ফ্রিজ সহ সকল জিনিস ও আসবাব পত্র।
৪ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দরের একেবারে জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ তান্ডব চালায় হাতির দল। এ হাতির দলে ছিল প্রায় ৩০টি হাতি।স্থানীয়রা জানায়, ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের মানুষগুলো রাতে ছিল ঘুমিয়ে। এমন সময় লোকালয়ে প্রবেশ করে ক্ষুধার্ত এই হাতিগুলো। তখন বাজে রাত ১০টা। টের পেয়ে ওই পরিবারগুলো অন্যত্র গিয়ে প্রাণে বাঁচে। বাড়ির পার্শ্বেও কলাগাছসহ খেয়ে সাবাড় করে বিভিন্ন ধরণের গাছ-পালা। ঘরের টিনের বেড়া ধুমড়ে মুচরে ভেঙ্গে ফেলে হাতির দল। গোলায় রাখা ধান-চাল ও ধানের বস্তা বাহিরে বের করে ইচ্ছে মতো খায় এসব হাতিরা। ঘরের সকল জিনিসপত্র ও ফ্রিজ সহ আসবাব পত্র ভেঙে চুরমার করে দেয় বন্যহাতির দল। এভাবে বন্যহাতির এক ঘন্টা তান্ডবে সব শেষ হয়ে যায় পরিবাগুলোর। অসহায় এই হিন্দু পরিবার গুলো বন্য হাতির আক্রমণে নি:স্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো হলো-গ্রাম পুলিশ নিরঞ্জন, রঞ্জিত, সিন্ধু ও সুমন। হাতির আক্রমণে ঘর সহ জিনিস পত্র ধ্বংস হয়ে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবার গুলো।এ বিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার রফিকুল ইসলাম বলেন, হাতির আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। খাদ্যের অভাব রয়েছে। হাতির খাদ্য ও আবাস স্থলের জন্য বনবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। সোলার ফেন্সিং করে হাতি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাতির খাদ্যের সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন-ক্ষধার্ত এসব হাতির জন্য পাহাড়ে তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি তারা হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চায়।