সাতক্ষীরা থেকে মোঃ রিয়াজ উদ্দীন:

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সালেহ বাবু ও তাঁর সকল অপকর্মের মাস্টারমাইন্ড নওয়াবেঁকী বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি পূর্বের ন্যায় এখনো বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে সরকারি জায়গার দখল বানিজ্য। কিন্তু তারা এবার প্রকাশ্যে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ,ক্লিনিক বানিজ্যে, খাদ্য দ্রব্যে বিষ প্রয়োগ, অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেট এমনকি দখল বানিজ্যে প্রকাশ্যে না করে ধরণ পাল্টে বেশ কৌশলী হয়ে উঠেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনি-বাবুর সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের তেলবাজী করে সুবিধা নিয়ে কোটিপতি বনে গেছেন যার সুবাদে তারা এখন প্রকাশ্যে অনিয়মে না থেকে কৌশলে তাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে। তাদের একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের চিত্র প্রশাসনের থাকলেও বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তারা তাদের শেল্টার দিচ্ছে বলে প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সাড়া মিলছে না এমনকি তাদের সকল অপকর্ম কে ঢাকতে বেশ কিছু মিডিয়াও রয়েছে তাদের অপকর্ম কোন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে তাৎক্ষণিক সেই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে তাদেরকে সেটার দিচ্ছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। গোপন সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে যখন যখন সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করবেন তখনই মনি-বাবু সিন্ডিকেটের সদস্যরা নওয়াবেঁকী মাছ কাটার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল সরকারি খাস জায়গা পূর্বের ন্যায় অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে স্থায়ী দোকানঘর নির্মাণ করবে। মনি-বাবুর সিন্ডিকেটে আর কারা কারা জড়িত এটা অনুসন্ধান করতে শেষ অবধি তথ্য গোপন রাখা হয়। পরবর্তীতে রাতারাতি সেখানে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রণী খাতুনের নজরে আনলে তিনি উক্ত স্থানে কাজ বন্ধ করতে ঘোষণা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে রাতের অন্ধকারে মনি-বাবুর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ দখল বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এমন বক্তব্যে মোঃ আবু রায়হান বলেন, ময়লা আবর্জনার/বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের আলাদা প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য, খাস জাগার উপরে অস্থায়ী দোকান ঘর বাধার সুযোগ করে দেন। বাজার ব্যবসায়ী কমিটি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থায়ী পাকা ঘর নির্মাণ করার হিড়িক পড়ে গেছে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের ভিতরে। স্থানীয় মিঠু নামের এক ব্যক্তি বলেন, মনি-বাবুর নেতৃত্বে পাঁক ঘর বাঁধার মহা উৎসব শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই তাদের সাথে স্থানীয় নায়েব এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মচারী জড়িত। এখানে কাউকে কিছু বলার কেউ নেই। আ’লীগ আমলে এরা যা করেছে এই বাহিনী এখনো তারা চালিয়ে যাচ্ছে। মোহাম্মদ জনি বলেন, নদী ভরাট হচ্ছে নদী ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ইতিপূর্বে আশাশুনি উপজেলা ১০ থেকে ১২টা ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।নদীর চর ভরাট হওয়ার করেন। এই বিষয়ে নওয়াবেঁকী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি বলেন,আমি বারবার নিষেধ করার সত্বেও আমার নির্দেশ অমান্য করে পাকা ঘর নির্মাণ করছে বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে এ বিষয়ে আলহাজ্ব আবু সালেহ বাবু বলেন, আপনাকে এসব তথ্য কারা দেয় বলতে পারেন? আমি সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নেই বলে নিজেকে ফেরেশতা বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রণী খাতুন বলেন, আমি সোনার সাথে সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, এরপরও যদি কেউ কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতি শীঘ্রই এই আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা মনি-বাবু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা করেন অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। বিরুদ্ধে অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে চোখ রাখুন….