নিজস্ব প্রতিবেদক >> তিন লম্পট আওয়ামীলীগ নেতা রাসেল-রুমন-তোফায়েলের ক্ষমতার দাপট ও প্রতারণায় অতিষ্ট নিরীহ সাধারণ মানুষ। সিলেটে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তারা কখনও আওয়ামিলীগ নেতা, কখন সাংবাদিক, কখনও
র্যাব-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে প্রতারণা করে আসছে। এই তিন লম্পটের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ছিনতাই, প্রতারণা, ব্যাংকের বুথ লুট, হুমকি, অপহরণ, বিস্পোরক, সাইবার আইন সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লাউয়াই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান আকতার এর ত্যাজ্য পুত্র র্যাব-পুলিশের সোর্স নুরুদ্দীন রাসেল, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা নারী পিপাসু কথিত সাংবাদিক আবুল কাশেম রুমন ও সদর উপজেলার পীরের বাজার এলাকার ভাড়াটিয়া লম্পট ধর্ষণ মামলার আসামী বিয়ে কামলা তোফায়েল এর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নীরিহ সংবাদকর্মীসহ জামায়াত বিএনপি’র শতাধিক নিরীহ মানুষ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও গোলাপগঞ্জ—বিয়ানীবাজার আসনের এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবে নাম ভাঙ্গিয়ে ভুয়া সাংবাদিক র্যাব ও পুলিশের সোর্স রাসেল-রুমন-তোফায়েলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সিলেট নগরীসহ গোলাপগঞ্জ এলাকার জামায়াত—বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ নিরীহ মানুষ।
জানা যায়, নুরুদ্দীন রাসেল এর নিজস্ব কোন পেশা না থাকলেও সিলেট নগরীর লাউওয়াইয়ে বাবার বাড়ীতে থাকে, আবুল কাশেম রুমন কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকায় মাষ্টার রোলে চাকুরী করে সামান্য বেতন পেলেও সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট নামে তাহার একটি পত্রিকা আছে সেই পত্রিকায় ভালো মানুষেমানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে ব্লাকমেইল করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া তার একটি পেশা। তাই আলমপুর এলাকায় বিলাসী জীবন-যাপন করে।লম্পট তোফায়েল বিভিন্ন সংগঠনের পরিচয়ে কার্ড বাণিজ্যে করে টাকা হাতিয়ে নেয়া তাহার একটা পেশা আর কোন পেশা নাই, সে নারী লোভী ১৩ টি বিয়ে করলেও পরিচয় পাওয়া গেছে ৭ বিয়ের। এছাড়া সে ১১টি ধষণ মামলার আসামী। সে পীরেরবাজার এলাকায় ভাড়া বাডায় আয়েশি জীবন যাপন করে আসছেন। র্যাব ও পুলিশের সোর্স হিসাবে বিগত সরকারের আমলে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ ও র্যাব দিয়ে ধরিয়ে এই চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। সমাজের বহু মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে পথে বসিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি, শাহপরান, গোলাপগঞ্জ থানা এবং আদালতে একাধিক অভিযোগ, জিডি ও মামলা থাকলেও পুলিশ তাকে না ধরে উল্টো সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করিয়েছিলো। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে লেবাস পাল্টাতেও শুরু করেছে বহুরূপী সোর্স রাসেল-রুমন-তোফায়েল বাহিনী।
ইতিমধ্যে অনেক মানুষকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যে, তাদের কথা না শুনলে পুলিশ ও শিবির নেতাদের দিয়ে শায়েস্তা করা হবে এবং পুলিশকে দিয়ে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হবে। শাহপরান থানার এসআই ও শাহজালাল উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর সাথে রয়েছে তাদের গভীর সখ্যতা। তাকে দিয়েই উপশহর এলাকার অনেক মানুষকে হয়রানি করিয়েছে। তাদের অন্যায় কাজের বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করলে ফেইসবুকে মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করে ঐ লোকের সম্মান হানি ঘটানোর বহুল প্রমাণাদি রয়েছে। তার রয়েছে একাধিক ভুয়া ফেইসবুক আইডি। যার মধ্যে খোলা জানালা অন্যতম। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের নাম্বার ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
রাসেল লাকী নামের এক অসহায় সংবাদকর্মীকে বিয়ের প্রলোভনে দুই বছর ঘরসংসার করে স্ত্রীর মর্যাদা না দিতে মিথ্যা মামলা ও তাদের বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে উল্টো মানসম্মানের হানি ঘটিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এর পর লাকীও তাদের বিরুদ্ধে নারীওশিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। এর পর লাকীকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকিসহ ফেইসবুকে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে মান হানি ঘটিয়েছে এবং একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করে হয়রানি করে আসছে।
বহু মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ও সাজানো মামলা দিয়ে এই চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার নামে তার নিজ এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। সে পতিতা ব্যবসার রাজা। আগে সব সময় মেচে থাকতো, সে এতো খারাপ যে তার বাবাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে, শুধু তাইনা তার বাবাকে মেরে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সে এখন ঐ বাড়ীতে বসবাস করছে। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে তার বৃদ্ধ পিতা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে বলেও এলাকায় জনরব রয়েছে।
তাদের বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বহু মানুষের ফেইসবুক আইডি হ্যাকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা লুট করারও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রুপে যাদের নাম শুনা যায় তারা হলেন মেরজটিলার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রুপের সদস্য ভেদাভেদ মামুন চৌধুরী, গোলাপগঞ্জের চিটার রুমন, লাউয়াইয়ের নুরুদ্দিন রাসেল। পীরের বাজারের তোফায়েল । রাসেল রুমনের সেল্টারে নানান অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতি করে আসছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। ওরা ছিনতাইকারী।
বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও জামাতের লোকজনসহ সাধারণ মানুষ কে পুলিশ দিয়ে ধরানো, রিমান্ডে নেয়া আবার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনাই ছিল তাদর মূল কাজ। যারা টাকা দেয়নি তাদের কপালে জুটেছে সাজানো মাদক, মার্ডার, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলার আসামি কিন্তু এরা কখনোই সাংবাদিক নয়। সাংবাদিকতা তাদের লেবাস। এরা আওয়াম লীগের দালালি করেছে আর পুলিশের সোর্স গিরী করে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিয়েছে এবং নিরীহ মানুষ কে ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা।
সরকার পরিবর্তনের কিছু দিন পূর্বে সোনারপাড়ার এক যুবদল নেতাকে র্যাবের মাধ্যমে ধরিয়েছে এই সোর্স চক্রটি। সেই যুবদল নেতাকে র্যাব দিয়ে ধরাতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাও ইন্ধন দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ সেই যুবদল নেতার ছত্রছায়ায় নানান বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিল মুনাফেক ও র্যাব পুলিশের সোর্স ও তার বাহিনী। যারা টাকা দিতে রাজি হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মান হানিকর লেখালেখি করে বহু মানুষের মান হানি ঘটিয়েছে। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই ধরনের সোর্সদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সাধারণ মানুষকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষার দাবি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ