জসিম হোসেন ক্রাইম রিপোর্টার ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ নম্বর নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নলডাঙ্গা বাজারের পাশে কালিকা দোয়ার ৩টি বড় বড় গাছ কেটে দিল এই অঞ্চলের প্রভাবশালীরা।
ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহাসিক রাজবাড়ী। এই নামে রেকর্ড কৃত বর্তমানে ১/১ খতিয়ানভুক্ত খাস জমি যার নাম কালিকাদোহা। এই কালিকাদোহার আয়তন ৯ একর ৯ শতক। এই কালিকাদোহার পাশে একটি মন্দির আছে যার নাম কালিকাদোহা মন্দির।
গতকাল ২৩ শে মার্চ রোজ শনিবার এই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জোগ সাজোরে এই সরকারি খাস জমির ৩টি করে গাছ বিক্রি করে দিয়েছে সাজেদুল ইসলাম নাম করে এক ব্যক্তির নিকট। যিনি বিক্রি করেছেন তার নাম কৃষ্ণ। এই সরকারি জমি থেকেই ভেকু দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা বানাচ্ছে পিকুল নামে এক যুবলীগ নেতা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এলাকার পৌছালে দেখা যায় যে ৩টি বড় বড় কড়াই গাছ কাটা হচ্ছে। এবং ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে যারা কাজ করছে তাদের সাথে কথা বললে তাদের মধ্যে একজন যুবলীগ নেতা পিকুল জানায় এই গাছ ৩টা কৃষ্ণ নামে একজন লাগিয়েছিল। আমরা এখন রাস্তা করছি তাই গাছ ৩ টা কেটে নিতে বলেছি তাই সে গাছ তিনটা ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। এখানে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা হচ্ছে। এই রাস্তা বর্তমান এমপি আনোয়ার আজিম আনার এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন উদ্বোধন করেছেন।
খাস জমির গাছ কাটা হচ্ছে এবং এই জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ প্রসঙ্গে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনের নিকট জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন ওই রাস্তা আমি এবং এমপি কেউই উদ্বোধন করেনি। ওইখানে যেহেতু সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে সেক্ষেত্রে ওই রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব না। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বিষয়টা জানিয়েছিলাম কিন্তু সে ওইখানে কোন রাস্তা নির্মাণ করতে নিষেধ করেছে। এই বলে চেয়ারম্যান নলডাঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জকে শ্মশান পালের গাছ কাটা হচ্ছে মর্মে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টেলিফোনে করেন।
এই প্রসঙ্গে ঝিনেদার সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি যা থেকে গাছ কর্তন করা হচ্ছে বিষয়টা আমি জানিনা। তবে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরীকে ফোন করলেও তিনি ফোন কেটে দেয় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম তাকে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ