বিশেষ প্রতিবেদক:

. রিপ্লেস ধান্ধার সেই মহরতি ও বর্তমান বিভাগীয় পরিচালক’র তৈরী রক্ষাকবজে ‘ফেল-পাশ’গ্যাড়াকলের ঘুষবাজ চক্র ফের বেপরোয়া

.যুগব্যাপি ‘ফেল-পাশ’গ্যাড়াকলের ঘুষবাজির শত কোটিপতি আরো বড় হোতারুপে সক্রিয়। টাকায় ধুয়েছেন বিগতের সব ঘুষবাজি দুর্নীতির দ‚র্গন্ধ।

সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ সেই সর্বাঙ্গের ব্যথায় তেড়া বিআরটিএ’র খিলক্ষেতে ফের চলছে-মৌয়ালরুপী ঘুষের পাগলের রামরাজত্ব। তবে মাস কয়েক আগে নির্বিঘœ অনিয়ম আর ঘুষের রমরমা বাজার বিআরটিএ’র ওই মেট্রো-১’র খিলক্ষেত জোয়ারসাহারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের বোর্ড নামের ‘ফেল-পাশ’গ্যাড়াকলের হোতা ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান জিয়া চক্রের ঘুষবাজির রকমফের নিয়ে অংসখ্য প্রতিবেদন হয়। আমলহীন অজ্ঞাত-অখ্যাত পত্রিকার ওই সব প্রতিবেদনের জেরে একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসে। ভাটা পড়ে,খিলক্ষেতসহ গোটা বিআরটিএ’র ওই “ফেল-পাশ”গ্যাড়াকলের ঘুষবাজিতে। তোপের মুখে পড়ে হোতা জিয়া। কিন্তু গ্যাড়াকলের সবচেয়ে দক্ষ চালক জিয়া তার অন্যতম গুরু ও ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহ’র দেখভালে বরাবরের মত পার পেয়ে অনেকটা নিস্ক্রিয় থাকেন। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের বিদায়ের মধ্যে পদোন্নতিটিও বাগিয়ে নেন ধুরন্দর জিয়া। তিনি এখন আরো ক্ষমতাধর, এডি সহকারি পরিচালক। আর সদ্য নতুন চেয়ারম্যান বসার সাথে সাথে জিয়া তার চক্রের অন্যতম ঘুষবাজ ইন্সপেক্টর ফয়সাল যোগসাজশে ফের বেপেরোয়াভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ওই “ফেল-পাশ”গ্যাড়াকলের ঘুষবাজির দায়ে তিনি এর আগে একাধিক বার ছোটখাট ধাক্কা সামলেছেনে। ধীরে ধীওে হয়ে উঠেছেন- আরো আরো বেপরোয়া।

আসল ব্যাপারটা হলো-মধু-মানে টেকা। মধুর লোভে যেমন মৌয়াল পাগল। সে যেমন সব ভুলে ঘুরেফিরে ওই বাগানেই ঢুকে পড়ে। মধুর নেশায় চালায় রামরাজত্ব। ঠিক তেমনি জিয়াও শত আপত্তি-বিপত্তিসহ সমালোচনা ঠেলে দীর্ঘ সময় ধরে মধুর বাগান ইকুরিয়া ও মিরপুর দিয়ে বাউলি খেয়ে সর্বশেষ মিরপুর ঘাটি গাড়েন। তা নিয়ে বরাবরই নানা অভিযোগ ও আপত্তি থাকা সত্বেও পরিচালক শহীদুল্লাহ’র ক্ষমতা বলে শত মৌয়ালের সরদার সেজে মধুর লোভে (ওই “ফেল-পাশ”গ্যাড়াকলের কাড়িকাড়ি টাকা) বহাল তবিয়্যতে থেকেছেন। একটা লম্বা সময় ধরে দুর্নীতির দ‚র্গন্ধে একাকার ইন্সপেক্টর জিয়া সদ্য আরো বড় ক্ষমতা মানে-এডি জিয়ায় পরিনত হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের শুরু হয়েছে, উদ্বেগের কানাঘুষা।

বিআরটিএ’র ওই মেট্রো-১’র ইন্সপেক্টর (মোটরযান পরিদর্শক) পদমর্যাদার কর্মকর্তা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই পাশ-ফেলের সেই গ্যাড়াঁকলের হোতাগিরিতে নির্বিঘেœ বহাল থাকছেন। প্রায় একযুগের বেশী সময় দায়িত্বে থাকলেও বছর চারেক ধরে ঘুরেফিরে ইকুরিয়ার পর মিরপুরের ‘ফেলে-পাশ’ গ্যাড়াঁকলের ধারক ও বাহক ছিলেন। এ সময়ে শত খানেকেরও বেশী দালাল রেখে খিলক্ষেতস্থ (জোয়ারসাহারা) লাইসেন্সের বোর্ড নামধারী ওই ‘ফেল-পাশ’ গ্যাড়াঁকলের গ্রাহকদের আটকে ঘুষ আদায়ে অবাধে সক্রিয় ছিলেন। আর এভাবে বেশ আগে গুছিয়ে নিয়েছেন আখের,মালিক হয়েছেন- বিলাশ বহুল বাড়ি,গাড়িসহ শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। আর সেই বলেই কব্জায় রেখেছেন অবৈধ টাকার কারখানারুপি ‘ফেলে-পাশ’ গ্যাড়াঁকলের সরদারি।

এর আগে ওই মক্ষম ম্যানেজবাজ ইন্সপেক্টর জিয়া বিআরটিএ’র ইকুরিয়া ও মিরপুরের ‘ফেলে-পাশ’ গ্যাড়াঁকলের হোতাগিরিতে বরাবরই বেশ পরিচিত নাম। আর এতে এযাবৎ ছোটখাট অনেক ঝাপটাও যায় তার (ইন্সপেক্টর জিয়ার) ওপর দিয়ে। তবে সর্বশেষ মাস কয়েক আগের এক ঝাপটায় ওই মিরপুর মানে-খিলক্ষেতের পরীক্ষার বোর্ডর ওই পাশ-ফেলের গেড়াঁকলের মধুর কারিগরি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু তাও সামলে মাস চারের মাথায় ফের সেখানেই ঢুকে পড়েন। কৌশলে হস্তগত করেন-ওই গেড়াঁকলের চাবিকাঠি। একটানা বিগত তিন-চার বছর খিলক্ষেতের (জোয়ারসাহারা) পরীক্ষার বোর্ড নামের ওই ‘ফেলে-পাশ’ গ্যাড়াঁকলের সর্বসের্বা হয়ে যেমন-হাতিয়ে নিয়েছেন-কোটি কোটি টাকা,তেমনি তৈরী করেছেন-বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহসহ নানা কেসেমের রক্ষাকবজ। তাদেরই আস্ক্য়ায় এডি জিয়া-ইন্সপেক্টর ফয়সাল চক্র ফের বেশামালরুপে সক্রিয়। আর ‘ফেলে-পাশ’ গ্যাড়াঁকল চালক ঘষিবাজ জিয়া-ফয়সাল চক্রের দীর্ঘদিনের ঘুষবাজির লম্বা ফিরিস্তি নিয়ে তৈরী ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এ পর্বটি লেখার শুরুতে ইন্সপেক্টর জিয়ার বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন করার পর না ধরায় ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। তাতে তিনি পোষা দালাল লাগিয়ে বিষয়টি দমাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন । বিস্তারিত এরপর