নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে জামাত নেতার কান্ডে হতবাক এলাকাবাসী। ক্ষমতার দাপটে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আশাহীদ আলী আশার ইনাতগঞ্জ বাজার হাই স্কুল রোডে অবস্থািত দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে।এ নিয়ে আতংকে আছেন সাংবাদিক পরিবার। এমন অত্যাচার যেন মধ্যযুগিয় বর্বরতাকে হার মানায়। ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছেন না।জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের নামকরণ নিয়ে ভূমি দাতা পরিবারের সদস্য ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা ও মসজিদ কমিটির হাজী হালিম উদ্দিন, আমিনুর রহমান,দিলবার ও জামাত নেতা মাসুদ আহমেদ জেহাদীর সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হবিগঞ্জ, সিলেট আদালত থেকে শুরু করে হাইকোর্টে মামলা চলমান।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একদল চোর গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারের সুমন ভ্যারাইটিজ দোকানে তালা ভেঙে দোকানে ডুকে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় মাসুদ আহমেদ জিহাদীগং পরদিন তার আত্মীয় এক চোরকে আটক করে আশাহীদ আলী আশার ভাতিজা সাংবাদিক আলী জাবেদ মান্নাকে চুরির ঘটনায় ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসুদ আহমেদ জিহাদী গত শনিবার রাতে ইনাতগঞ্জ বাজারে এক প্রতিবাদ সভায় আশাহীদ আলী ও তার ভাই ভাতিজাকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তোলে আনার হুমকি দিয়েছেন। এরপর থেকে সাংবাদিক আশাহীদ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মাসুদ আহমেদ জিহাদী কোন শালিস বিচারও মানছেননা। সর্বশেষ গতকাল (২৭ মার্চ ) শুক্রবার সকালে মাসুদ আহমেদ জিহাদী তার দলবল নিয়ে আশাহীদ আলী আশার ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় রোডে অবস্থিত দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। পাশাপাশি বাড়িতে হামলা করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় আশাহীদ আলী আশা বাড়ীতে ছিলেন না। হামলাকারীদের ভয়ে বাড়ির বৃদ্ধ মহিলা,শিশুসহ সবাই আতংকিত হয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই বিজু সিংহ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং দোকানের তালা খুলে দেন। পরে আবারও মাসুদ আহমদ জিহাদী ও তার ছেলে সুমন ভাতিজা রুবেল, শাহিনুর গংরা দোকানে তালা ঝুলে দেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা বলেন,আমরা ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের ভূমিদাতা পরিবার। বিগত প্রায় ৩৩ বছর ধরে মাসুদ আহমদ জিহাদীগংরা আমাদের এ স্বীকৃতি দিতে নারাজ এবং জুলুম নির্যাতন করে আসছে। ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসন আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ার পর মানেনি। উভয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছে। মসজিদের বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাকে ঘায়েল করতে আমার ভাতিজার উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাজারে আরো অহরহ চুরি হলেও কারো মাথা ব্যথা হয়না। আমাকে সমাজে হেয় করতেই তাদের এমন আয়োজন। এলাকাবাসী তাদের এমন নাটকে নাখোঁশ। মাসুদ আহমেদ জিহাদী তার উপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,বিষয়টি নিয়ে বসতে চেয়েও বসতে পারিনি। এখন আর বসার সুযোগ নাই। যা হবে আইনের মাধ্যমে। এ নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ