স্টাফ রিপোর্টার
নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাদকবিরোধী সফল সংগঠক ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ নেপালের অনুপম ফুডল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ এন্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সামিট এই অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। বিপুলকে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলেদেন গ্লোবাল ইউথ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল এর সভাপতি ইন্দিরা রানামাগার ডেপুটি স্পীকার নেপাল। এতে অংশগ্রহণ করে নেপাল, চায়না, মালয়েশিয়ায়, ভারত ও বাংলাদেশ। মাদক এক সর্বনাশা নেশা। এই নেশা থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজে যখন পরিবারের কেউ একজন নেশাগ্রস্ত হয় । ড. জাহিদ শৈশবকাল থেকে সংগঠন প্রিয়। তার মাদকবিরোধী সংগঠন ঝলক ফাউন্ডেশন সমাজে সচেতনতা এনেছে। তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছেন সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ।সর্বনাশা নেশার চোরাবালিতে তলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের যুবসমাজ, নেশার আগ্রসন ঠেকানোর জন্য চাই সম্মিলিত উদ্যোগ, এই উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য মাদকবিরোধী আন্দোলন করে যাচ্ছেন। মাদকবিরোধী আন্দোলন বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন তিনি । অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রতিমাসে মাদক পরামর্শ সহায়তা গোলটেবিল শোভাযাত্রা মানব বন্ধন আলোচনা ও সামাজিক অনুষ্ঠান । মাদকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি বেশ কিছু সেমিনার করেছেন দেশে ও বিদেশে, পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ চাই, নেশা সর্বনাশা, সর্বনাশা নেশা, ড্রাগ ফ্রী বাংলাদেশ এই চারটি গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন ।
তিনি অনারারি ভাইস প্রেসিডেন্ট পূর্বাচল বোট ক্লাব লিমিটেড, ভাইস চেয়ারম্যান জনতার টেলিভিশন, উপদেষ্টা আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশন, সহ সভাপতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন, উপদেষ্টা ডন গ্রামার স্কুল, সদস্য সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেড, আজীবন সদস্য বনানী সোসাইটি, আজীবন সদস্য জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা বাংলাদেশ, সিনিয়র সহসভাপতি ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন, কর্মসংস্থান সম্পাদক সিলেট বিভাগ যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদ । ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী লায়ন্স ইনটারন্যাশনাল এর সাথে জড়িত। তিনি লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা স্টার এইমারস(315 B3) এর সহসভাপতি ।
ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক সংগঠক হিসেবে জাতিসংঘের সেমিনারে যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা,কুয়েত, মিয়ানমার, সাউথ কোরিয়া, ভারত ও নেপাল ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার বাবা মনসুর আহমেদ চৌধুরী একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী।