আবুল কাশেম আযাদ, স্টাফ রিপোর্টার :
চট্রগ্রাম সাতকানিয়া সোনাকানিয়া ইউনিয়নে মির্জাখীল এলাকায় সোনাইচড়ি খালের উপর বাঁধ দিয়ে বনবিভাগের বন দখল করে গড়ে তোলা লেকের বাঁধ কেটে দিয়েছে বনবিভাগ। এই লেকের পানিতে সাতকানিয়া সোনাকানিয়া ইউনিয়নে গভীর রাতে হাট বাজার,জনপথ, ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত ডুবে যায়। অনেকে শীতের রাতে হঠাৎ পানি ঘরে ডুকাই আল্লাহর গজব মনে করে।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে খালের বাঁধ কেটে দেওয়ায় লোকালয়ে পানি বাড়ছে। লেকের পানিতে মির্জাখীল এলাকায় দোকানপাট, ঘরবাড়ি, গরুছাগল, স্কুল, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ পানিতে শত শত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল নষ্ট হয়।
শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি লেকের পানিতে লোকালয় ডুবে যাওয়া নিশ্চিত করেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন।
জানা যায়, সাতকানিয়া লোহাগাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় (ছোট হাতিয়া,সেইটতলি ও মির্জাখীল অংশ) সোনাইচড়ি খালের উপর অবৈধভাবে দখল করেছে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত নাছির উদ্দিন ও মন্ছুর আলম। তারা ২০২১ সাল থেকে বাঁধ তৈরি করে মৎস্য চাষ শুরু করেন। এই বাঁধের কারণে মির্জাখীল অংশে কৃষকের চাষাবাদ ব্যাহত হয়। যা কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।স্হানীয় কৃষকরা এই অবৈধ বাঁধ তৈরি শুরি থেকে বনবিভাগকে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। বনবিভাগ সাবেক সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে পদক্ষেপ নিতে গেলেও পারেনি। ২০০৯ সালে সোনাইচড়ি খালের উপর নির্মিতি (১কোটি ২০লক্ষ টাকা) সুইচ গেইটটি ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা হাহাকার বিরাজ করছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটানাস্হলে পরিদর্শন করেন,সাতকানিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি আরাফাত সিদ্দিকী। পরিদর্শন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,লোহাগাড়া উপজেলার বনভূমি অবৈধভাবে দখল করে বাঁধ তৈরির একটি সংবাদ আমরা শনিবার সংবাদপত্রে দেখেছি। বনবিভাগ ঐ বাঁধটি কেটে দিয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের কোনো ধরনের অবহিত না করে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধটি কেটে দেওয়ার কারণে সাতকানিয়া সোনাকানিয়া অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন মহলের কাছে জানাব।