নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পুরান পাড়া এলাকার আল-জামিয়া আল-ফারুক্বীয়া মাদ্রাসার কমিটিতে দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদে ঢুকে টেকনাফ উলামা পরিষদের সভাপতি ও আল-জামিয়া আল-ফারুক্বীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং একই মসজিদের খতীব মাওলানা মাহবুবুর রহমান মজাহেরীকে
মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় তার দুই পুত্র হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র হাম্মাদ বিন মাহবুব ও অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ কে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষিসহ মারধর করেছে।
শুক্রবার (২১জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আল-জামিয়া আল-ফারুক্বীয়া মাদ্রাসার মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন,উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ঝিনা পাড়া এলাকার মৌলভী কলিম উল্লাহ,
তার আপন ছোটভাই মৌলভী গফুর,
উম্মে সালমা বালিকা মাদ্রাসার মুহতামিম মৌলভী সরোয়ারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই পূর্ব শত্রুতার জেরে শুক্রবার পুরান পাড়া আল-জামিয়া আল-ফারুক্বীয়া মাদ্রাসার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হলে মৌলভী কলিম উল্লাহ ও তার সহযোগীরা তাকে ধাওয়া দেয়। প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়লে সন্ত্রাসীরা রামদা ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা করে।
এ বিষয়ে হামলার শিকার টেকনাফ উলামা পরিষদের সভাপতি ও আল-জামিয়া আল-ফারুক্বীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা মাহবুবুর রহমান মজাহেরী সাংবাদিকদের জানান,
এলাকার কিছু কুচক্রী মহল,নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আমার মাদ্রাসা নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে।
গেল কাল আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময় মাগরিবের নামাজের পর মসজিদে ঢুকে আমিসহ আমার দুই ছেলে কোরআনে হাফেজদের অবরূদ্ধ করে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে।
আমি এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি এ বিষয়ে টেকনাফের সকল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
জানতে চাইলে,বাংলাদেশ কওমী বোর্ড ইত্তেহাদুল মাদারিস সরকার নিবন্ধনদিত সহ-সভাপতি ও টেকনাফ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা মুফতী কিফায়েত উল্লাহ শফিক বলেন, সরকার নিবন্ধনদিত কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত তালিকায় নাম থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে
আল্লামা মাহবুবুর রহমান মজাহেরীর উপর হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলাটি খুবই নিন্দনীয়।