ওয়াসিম শেখ, স্টাফ রিপোর্টার:
প্রতিবছরের মতো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও তামাকজাত পণ্যের মধ্যে বেশকিছু সিগারেটে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। বেড়ে যাওয়া সিগারেটের নতুন মূল্যও নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে বাজারে এখনো আগের উৎপাদিত সিগারেটই বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম নেওয়া হচ্ছে বাড়তি, নতুন বাজেট অনুযায়ী। ফলে ধূমপায়ীদের পকেট থেকেও বাড়তি করের টাকা বের হচ্ছে। তবে বাড়তি এই করের টাকা জমা হচ্ছে না রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। অবৈধভাবে এই বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু মজুতদার ও মাঠ পর্যায়ে সিগারেট বিপণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর)।
শুধু তাই নয়, কিছু ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পুরোনো সিগারেটই নতুন দামে সরবরাহ করছে ! অবৈধভাবে সিগারেট মজুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আইনের ফাঁকফোঁকরের আশ্রয় নিয়ে বাজেটকে কেবলই তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানিগুলোও অবৈধ এই বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রায় প্রতিবছরই বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এবারের বাজেট অনুযায়ী সিগারেটের সর্বনিম্ন ধাপের সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৫০ টাকা। মধ্যম মানের ১০ শলাকার মূল্য ৬৭ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৭০ টাকা, উচ্চমানের ১০ শলাকার মূল্য ১১৩ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১২০ টাকা এবং অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্য ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৬০ টাকা।সম্পূরক শুল্কের হার ৬৫ শতাংশের পরিবর্তে ৬৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়ির কাগজের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের হার সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে এখনো আগের উৎপাদিত সিগারেটই বিক্রি হচ্ছে। অথচ দাম নেওয়া হচ্ছে নতুন বাজেট অনুযায়ী। কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
দোকানদার ইকবাল বলেন, ‘সিগারেট কোম্পানিগুলো নতুন দাম নিচ্ছে। কিন্তু পুরোনো রেটের বা পুরাতন সিগারেট দিচ্ছে। ‘বাজেটের আগে বেনসন ৩১০ টাকায় কিনে বিক্রি করেছি ৩৪০ টাকায়। এখন ৩২৪ টাকায় কেনা পড়ছে। বিক্রি করছি ৩৬০ টাকায়। মার্লবোবোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, ‘কমদামের মধ্যে ডার্বি ও শেখের দাম বেড়েছে। সিগারেটগুলো আগে ২০ শলাকার মূল্য ৮৮ টাকায় কেনা পড়ত, এখন ১০০ টাকায় কেনা পড়ছে। আর বিক্রি ১২০ টাকা।
দোকানদারা আরো বলেন, আমরা কোম্পানির গাড়ি থেকে সিগারেট রাখি। বাজেটের পর থেকেই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সিগারেটের গায়ে আগের দামই লেখা আছে। তারা আসলে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। হয়তো তারা আগের সিগারেট মজুত করে রেখে এখন বাড়তি লাভের আশায় নতুন দামে বিক্রি করছে।
এক ধূমপায়ী বলেন, বেনসনের প্যাকেটে ৩১০ টাকা লেখা আছে। আগে ৩৪০ টাকায় কিনতে পারলেও এখন ৩৬০ টাকার কমে কেনা যাচ্ছে না। প্রতিবছরই বাজেটের পর এমন হয়। আর ছোট দোকান থেকে একটি বেনসন কিনতে গেলে ১৮-২০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। অথচ সরকার এখনো এর রাজস্ব পাচ্ছে না। তাহলে বাড়তি কর দিচ্ছি কেন? আমরা সরকারকে কর দিচ্ছি, তা যেন কারো অবৈধ ব্যবসার হাতিয়ার না হয়। আর এমনিতেই সিগারেট কোম্পানিগুলো আমাদের শুষে নিচ্ছে। বিপণন পর্যায়ে যেন কোম্পানিগুলো আরও তদারকি বাড়ায়।
ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো পুরনো তারিখে পুরনো সিগারেট বিক্রি করছে। অথচ দাম নিচ্ছে নতুন বাজেট অনুযায়ী। এমনই একটি কোম্পানি এম-আর বাদ্রাস্। সিরাজগঞ্জ সব এলাকায় এই কোম্পানিটি সিগারেট সরবরাহ করে থাকে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ